বেড়াতে গিয়ে পেটের গন্ডগোল ঠেকাতে কোন কোন বিষয়ে নজর দেবেন? ছবি: ফ্রি পিক।
বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ দু্র্বিষহ হয়ে উঠতে পারে বাইরে গিয়ে পেটখারাপ হলে। আচমকা পেটব্যথা, ডায়েরিয়া হলে বেড়ানো তো মাটি হয়ে যায়ই, পাশাপাশি, অচেনা-অজানা জায়গায় সমস্যার শেষ থাকে না। পরিস্থিতি তেমন হলে, হাসপাতালে ভর্তি করাই হয় শেষ উপায়। এমন বিপদ এড়াতে শুরু থেকেই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। দরকার, কিছু ওষুধ সঙ্গে রাখা। এমন সমস্যা এড়াতে কী কী করবেন?
হাত ধোয়া
বাইরে গেলে হাত ধোয়ার কথা মাথায় থাকে না। সমস্ত জায়গায় হাত ধোয়ার জলও হয়তো থাকে না। এ দিকে টুকিটাকি মুখ চলতেই থাকে। হাত না ধুয়ে খাওয়ার প্রবণতা যে কোনও সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে। অপরিষ্কার হাতে খাওয়া পেটের সমস্যার অন্যতম কারণ। তাই সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জায়গা না থাকলে সঙ্গে হ্যান্ড স্যানটাইজ়ার রাখতে পারেন। স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের পর পরিষ্কার জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিলে ভাল হয়।
জল থেকে সাবধান
বিদেশ বিভুঁইয়ে আচমকা পেটখারাপের অন্যতম কারণ হতে পারে অপরিশ্রুত পানীয় জল। বিশেষত পাহাড়ি জায়গায় জল থেকে পেটের সমস্যা হয়। যে কোনও জায়গায় গেলেই কী জল পান করছেন, সেটি পরিশ্রুত পানীয় জল কি না, দেখে নেওয়া প্রয়োজন। এ রকম ক্ষেত্রে পরিশ্রুত বোতলবন্দি পানীয় জল কিনে খাওয়াই ভাল। শুধু খাওয়াই নয়, অপরিশ্রুত জল মুখে গেলেই পেটখারাপ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মুখ ধোয়া বা কুলকুচি পানীয় জলেই করাই ভাল।
স্যালাড
অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতন হন। বিভিন্ন রকম স্যালাড পছন্দ করেন। কিন্তু বেড়াতে গিয়ে কাঁচা সব্জি খাওয়ার সময় সতর্ক হওয়া দরকার। কাঁচা সব্জি ভাল করে ধোয়া না হলে, তা থেকে পেটখারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাইরে গিয়ে প্রয়োজনে এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
অচেনা খাবার
যে কোনও জায়গায় বেড়াতে গিয়ে স্থানীয় খাবার লোকে চেখে দেখেন। রাস্তার ধার থেকে খাবার কেনার সময়, তার গুণগত মান সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার। একেবারে অচেনা খাবার চেখে দেখার ইচ্ছা হলে, বিশেষত তা যদি সামুদ্রিক কোনও মাছ বা প্রাণী হয়, সে ক্ষেত্রে প্রথম বার বেশি না খাওয়াই ভাল। অনেক খাবারেই শরীরে অ্যালার্জি হতে পারে। কোন খাবারে তা হবে, আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। অ্যালার্জি কখনও কখনও প্রাণঘাতীও হতে পারে।
ওষুধ
গ্যাস, অম্বল, পেটব্যাথা, ডায়েরিয়া, পেটের সংক্রমণ হলে খাওয়ার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যালার্জির ওষুধ বেড়াতে যাবার আগেই চিকিৎসকের কাছ থেকে লিখিয়ে নিন। সমস্ত ওষুধ গুছিয়ে নেওয়া জরুরি। অনেকেই মনে করেন, কিছু হবে না। হলে ওষুধ কিনে নেওয়া যাবে। এই মানসিকতা বিপদ ডেকে আনতে পারে। মাঝরাতে শরীর খারাপ হলে কোথায় ওষুধ খুঁজবেন? হাতের কাছে দোকান থাকলেও নির্ধারিত ওষুধটি যে পাওয়া যাবে, তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়? এ ছাড়াও, সঙ্গে ওআরএস রাখা দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy