শুকনো নারকেলে লুকিয়ে কোন বিপদ? —প্রতীকী ছবি।
অন্তর্দেশীয় হোক বা আন্তর্জাতিক, বিভিন্ন বিমান সংস্থার উড়ানে বিভিন্ন দ্রব্য পরিবহণে কিছু নিষেধাজ্ঞা থাকে। তবে, সেই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকবে শুকনো নারকেলও!
বিরিয়ানি থেকে শুরু করে কেক, বাদাম, মিষ্টি নিয়ে যেতে যেখানে আপত্তি নেই, সেখানে শুকনো নারকেলে আপত্তি কেন, প্রশ্ন আসতেই পারে। বিভিন্ন রাজ্যেই প্রসাদ হিসাবে শুকনো নারকেল দেওয়া হয়। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজে গেলে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে গেলে, যাত্রীরা অনেক সময় প্রসাদও নিয়ে যান। প্রসাদে এমনিতে সমস্যা না হলেও, শুকনো নারকেল থাকলেই কিন্তু আটকে দিতে পারে বিমান সংস্থা। সমাজমাধ্যমে এর কারণও খোলসা করেছে একটি বিমান সংস্থা। জানিয়েছে, শুকনো নারকেল দাহ্যপদার্থ। চেক-ইন হোক বা কেবিন ব্যাগ, কোনওটাতেই তাই এই ফলটি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না।
নারকেল থেকে তেল তৈরি হয়। নারকেলের মধ্যে থাকা তেল দাহ্য বলে নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়। তবে ডাব নিয়ে যেতে কোনও বাধা আছে কি না, তা খোলসা করা হয়নি।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিপজ্জনক জিনিসের তালিকায় রয়েছে নারকেলও। শুকনো নারকেলের শাঁসকে বিপজ্জনক বলা হয়েছে। দাহ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তবে নারকেল না নেওয়া গেলেও, একাধিক বিমান সংস্থার উড়ানে বিরিয়ানি, কেক, ফল, সব্জি, শুকনো ফল নিয়ে যেতে আপত্তি নেই। এমনকি মধু, পানীয় জলও নির্দিষ্ট মাত্রায় বিভিন্ন বিমান পরিবহণ সংস্থা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। তবে বিমানে ওঠার সময় কেবিন ব্যাগ বা সঙ্গে থাকা ব্যাগে শুকনো নারকেল, মাছ, মাংস, লঙ্কার আচার এই ধরনের খাবারে নিষেধাজ্ঞা থাকে।
বিমানে ওঠার সময় কোন জিনিস কোথায় নেওয়া যায়, জানা থাকলে অনেকটাই সুবিধা হয়। না হলে শুধু জানার ভুলে বিমানবন্দরে গিয়ে হেনস্তার মুখে পড়তে হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy