Advertisement
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
An Offbeat Destination Asannagar

কলকাতা থেকে গাড়িতে ঘণ্টা চারেকের পথে পৌঁছে যেতে পারেন গ্রাম্য পরিবেশে, অপেক্ষা করছে আসাননগর

পুজোর ছুটির জন্য ট্রেন, বাস, বিমানের টিকিট কাটা হয়নি? হতাশ না হয়ে চারচাকাকেই সঙ্গী করে নিন এ বছর। শরতের ছুটি কাটানোর জন্য কাছে ও দূরে নানা জায়গা আছে। আনন্দবাজার অনলাইনে থাকছে সড়কপথে ভ্রমণের চেনা-অচেনা ঠিকানা।

কোথায় যাবেন তা নিয়ে চিন্তা? মুশকিল আসান করবে আসাননগর।

কোথায় যাবেন তা নিয়ে চিন্তা? মুশকিল আসান করবে আসাননগর।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৪
Share: Save:

কলকাতা থেকে দূরেও নয়, চারচাকা নিয়ে ঝট করে চলে যাওয়া যায় এমন কোনও জায়গা খুঁজছেন? মুশকিল আসান করতে হাজির আসাননগর। চাকচিক্য নেই, তবে গ্রামজীবন, খেত-খামার, নদী, গাছপালা— সবটাই পাবেন এখানে। নদিয়ার কৃষ্ণনগর মহকুমার ছোট্ট গ্রাম আসাননগর। তাকে কেন্দ্র করেই এখন শুরু হয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা।

এ গ্রামে এলে চোখ ভরে সবুজ দেখতে পাবেন। চাইলে বয়ে যাওয়া ঝোর নদীতে স্নানও সেরে নিতে পারবেন। ভোর উঠে আলপথ বেয়ে বহু দূর চলে যেতে পারবেন। আসলে এই স্থান কিছুটা মন্থর যাপনের জন্য। শহুরে ক্লান্ত জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একবুক অক্সিজেন নেওয়ার জন্য।

মরসুম ভেদে আসাননগর এক এক রকম। বর্ষায় চারপাশ সবুজ। আবার শীতের দিনে তার রং বদলে হলুদ। দিগন্ত বিস্তৃত সর্ষেক্ষেতের শোভা দেখা যায় তখন। আর সকালে পাওয়া যায় টাটকা খেজুরের রস, টাটকা গুড়ের স্বাদ।

প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভােগে ঘুরে নিন আসাননগর।

প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভােগে ঘুরে নিন আসাননগর। ছবি: সংগৃহীত।

আসাননগরের আর এক পরিচিতি সেখানকার বাউল-ফকির পরম্পরার কারণে। প্রতি বছর শীতে এখানে অনুষ্ঠিত হয় লালন মেলা। এখানে অংশ নেন দু’পার বাংলার বাউল, ফকিররা। তবে এখন তার সময় না হলেও ভাগ্য প্রসন্ন থাকলে শুনতে পারেন লালন সাঁইয়ের গান।

কী ভাবে যাবেন?

কলকাতা থেকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে পৌঁছতে হবে বড়জাগুলি। সেখান থেকে রানাঘাট, ফুলিয়া হয়ে আসাননগর। জায়গাটি কৃষ্ণনগর শহর ও মাজদিয়ার মধ্যবর্তী । কলকাতা থেকে দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগবে ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা।

কলকাতা থেকে বারাসত হয়ে রানাঘাট হয়েও যেতে পারেন। চূর্ণী নদী পার করে ডান দিকের রাস্তায় যেতে হবে। বীরনগর, তাহেরপুর পার করে বড়কুল্লা বাজার। খামার শিমুলিয়া থেকে ডান দিকে বেঁকে গেলে পড়বে কুলগাছি। সেখান থেকে আবার ডান দিকে বাঁকলে আসাননগর।

কোথায় থাকবেন?

আসাননগরে থাকার জন্য একটিমাত্র হোম স্টে রয়েছে। প্রাকৃত হোম স্টে। সামনে দিয়েই বয়ে গিয়েছে ঝোর নদী। পাশেই রয়েছে জঙ্গল। ক্ষেত। এক রাতে মাথা পিছু খাওয়া নিয়ে খরচ পড়বে হাজার তিনেকের মতো।

আর কী দেখবেন?

এখান থেকে ঘুরে নিতে পারেন শিবনিবাস। এখানে তিনটি মন্দির রয়েছে। দু’টি শিবের ও একটি রামসীতার। তারই মধ্যে একটি রাজরাজেশ্বর মন্দির। যার অন্যতম আকর্ষণ হল ৯ ফুট উঁচু শিবলিঙ্গ। এখান থেকে ঘুরে নেওয়া যায় ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত। বনবিবি তলার বিশাল অক্ষয় বটবৃক্ষ দেখে নিতে ভুলবেন না। মূল গুঁড়ি নেই, ছ’বিঘা জমি জুড়ে শুধু বটের ঝুড়ি বিস্তৃত। পুজোর সময় এখানে এলে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দুর্গা দর্শন করতে ভুলবেন না যেন। এ ছাড়া, কৃষ্ণনগরের দু’টি চার্চও ঘুরে নিতে পারেন। হাতে সময় থাকলে কৃষ্ণনগরের পুতুলপাড়া ঘূর্ণিও রাখতে পারেন তালিকায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Travel Offbeat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE