Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

‘সুপারস্টারদের বিপরীতে আমাকে কাস্ট করা হয় না’

একের পর এক অন্য ধারার হিন্দি ছবিতে তাপসী পান্নু। কথা বললেন আনন্দ প্লাসের সঙ্গে  একের পর এক অন্য ধারার হিন্দি ছবিতে তাপসী পান্নু। কথা বললেন আনন্দ প্লাসের সঙ্গে 

তাপসী

তাপসী

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

প্র: পরপর বড় প্রজেক্টে কাজ করছেন। স্ট্রাগলের পর্বটা তা হলে পেরোলেন?

উ: একদমই নয়। যেখান থেকে শুরু করেছিলাম আর যেখানে এসে পৌঁছেছি— সেটা বড় প্রাপ্তিই। তবে রিজেকশন এখনও পেতে হয়। আপোসও করে নিতে হয়। যেমন সমকালীন সুপারস্টারদের বিপরীতে আমাকে কখনওই কাস্ট করা হয় না। এই বিষয়টা মেনেও নিয়েছি। তাই অনেক শান্তিতে আছি।

প্র: ঋষি কপূর এবং অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাজ করার কেমন অভিজ্ঞতা?

উ: বচ্চন স্যারের সঙ্গে আমার এটা দ্বিতীয় ছবি। ‘পিঙ্ক’-এর কাজ যখন শুরু হয়েছিল, প্রথম দিন থেকে সেটে একটা গুরুগম্ভীর ভাব ছিল। সবাই একদম চুপচাপ থাকত। তখনই স্থির করেছিলাম যে, ওঁকে দেখে ভয় পাব না। এখন আমাদের সম্পর্কটা একদম বন্ধুর মতো। আমরা একে অপরকে ‘বাডি’ বলে ডাকি! সম্পর্কটা সহজ হয়েছে বলেই ওঁর সামনে আমার পারফরম্যান্সটা ভাল হয়। ঋষি স্যার আবার প্রকৃত অর্থে পঞ্জাবি। উনি স্বাভাবিক কথা বললেও লাউড আর ইয়ার্কি মারলেও লাউড! উনি আমার ডায়েটের পিছনে লেগেই থাকতেন। ওঁর ধারণা, আমি ডায়েট করে অযথা রোগা হয়েছি। সেই নিয়ে ঝগড়াও করতেন! খুব স্পষ্টবাদী মানুষ।

প্র: ‘সুর্মা’তে আপনি হকি খেলোয়াড়ের চরিত্র করেছেন। ছোটবেলায় খেলাধুলো করতেন?

উ: যখন ছোট ছিলাম, কোনও বাছবিচার করতাম না। বাস্কেটবল, ভলিবল, দৌড়, ব্যাডমিন্টন সব প্রতিযোগিতায় নাম দিতাম। মনে আছে, হেরে গেলে খুব দুঃখও হতো। এখন সময় পেলেই স্কোয়াশ খেলতে যাই। ‘সুর্মা’র কাজ শুরু করার আগে রীতিমতো হকি শিখেছি। অনেকে বলেন, আমার চেহারাটা খেলোয়াড়দের মতোই। আর চরিত্রের দাবি অনুযায়ী, চেহারাটা সর্দারনি গোছের হতেই হতো। চেকলিস্টের সব কিছুতেই আমি ফিট করে গেলাম! আরও একটা বড় ব্যাপার হল, আমার বাবা এক কালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে হকি খেলতেন। অপেক্ষায় আছি, বাবা কবে ছবিটা দেখে নিজের মতামত জানাবেন (হাসি)। আমার ইচ্ছে, ভবিষ্যতে এক জন হকি প্লেয়ারের জীবনের উপর বায়োপিক করার। দেখা যাক, সেটা কবে হয়।

প্র: মুম্বইয়ে আপনি নিজের বাড়ি কিনেছেন। শহরটা ভাল লাগে?

উ: প্রথম দু’-তিন বছর তো নিশ্চিতই ছিলাম না যে, ক’দিন এখানে থাকব! তার পর কাজ করতে করতে মনে হল, নিজের একটা বাড়ি থাকা খুব জরুরি। এখানে কাজ করতে ভাল লাগে, তবে ইন্ডাস্ট্রিতে আমার তেমন কোনও বন্ধু নেই। যাঁদের সঙ্গে কাজ করি, তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা হলেও তেমন ঘনিষ্ঠতা নেই। নিজের মতোই থাকি। অনেক সময়ে মনে হলে পাবলিক ট্রান্সপোর্টেও যাতায়াত করি। আসলে জীবনটাকে যতটা সম্ভব সাধারণ রাখার চেষ্টা করি। ক্যামেরা অফ হলেই আমি এক জন সাধারণ মেয়ে।

প্র: দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও জমিয়ে কাজ করছেন। ব্যালান্স করেন কী করে?

উ: অসুবিধে হয় না। সাউথে কোনও দিনই কাজ করা বন্ধ করব না— এই সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলেছি। যা-ই হোক না কেন, বছরে একটা দক্ষিণী ছবি আমি করবই। যেখানে দর্শক আমাকে গ্রহণ করে নিয়েছেন, সেখানে কেন কাজ করব না? ‘মনমর্জ়িয়া’র পর দক্ষিণের অন্য একটা ছবির শুটিং শুরু করব।

প্র: ‘মনমর্জ়িয়া’য় আপনি অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে অভিনয় করছেন। বাবা আর ছেলের মধ্যে অনেক মিল, তাই না?

উ: কথা বলার ভঙ্গি আর হাবভাবে মিল আছেই। শুটিংয়ের সময়ে মাঝে মাঝে চমকে যেতাম দেখে। ভাবতাম বচ্চন স্যারের সঙ্গেই কথা বলছি। তবে দু’জনের অভিনয়ে কোনও মিল খুঁজে পাইনি।

প্র: সুজয় ঘোষের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কী রকম?

উ: যত জন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের মধ্যে সুজয় ঘোষ আর অনুরাগ কাশ্যপ সবচেয়ে মজার লোক। এরা দু’জন আদতে যতটা সিরিয়াস ছবি বানায়, বাস্তবে ঠিক ততটাই হুল্লোড়ে! সুজয়কে তো আমি এই বলে খেপাই যে, তোমার প্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালন, আমি নই। সুজয়ও আমাকে হেসে জবাব দেয়, ‘হ্যাঁ, সত্যিই বিদ্যা আমার ফেভারিট!’ সুজয় যে ভাবে ‘বদলা’ বানাচ্ছে, সেটা খুবই অন্য রকম। ‘ইনভিজ়িবল গেস্ট’-এর রিমেক হলেও ছবিটাকে কপি-পেস্ট বলতে পারবেন না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE