লা লিগায় ২৩ গোল করে (লেভেন্তে ম্যাচের আগে) তিনি মরসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর পতুর্গালের হয়ে নেমেও ইতিমধ্যে গোলের রেকর্ড করে ফেলেছেন ব্যালন ডি’অর জয়ী। কোথায় গিয়ে থামবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দৌড়? এক মহাতারকাকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবটা দিচ্ছেন আর এক কিংবদন্তি ও রিয়ালের সহকারী কোচ জিনেদিন জিদান। তিনি বলছেন, “ও তো আকাশ ছোঁয়ার ক্ষমতা রাখে। সব সময় আরও ভাল খেলতে চায়। লড়াই ব্যাপারটা ওর রক্তে।” সিআর সেভেনে মুগ্ধ জিদান আরও যোগ করেন, “প্র্যাকটিসে প্রত্যেক দিন ওকে লক্ষ করি। সবার আগে আসে আর সবশেষে মাঠ ছাড়ে। তাও প্র্যাকটিস শেষ হওয়ার ঘণ্টা দু’য়েক পর।”
৩২ বার লা লিগা, ১৮ বার কোপা দেল রে আর ৯ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও এক সঙ্গে এই তিনটি খেতাব কখনও পায়নি রিয়াল। দুর্ধর্ষ ফর্মে থাকা পর্তুগিজ মহাতারকার হাত ধরে সেই অধরা রেকর্ড কী হাতের মুঠোয় আসবে? জিদান বেশ আশাবাদী। তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে ত্রিমুকুট জয় নিয়ে কথা হয়েছে। রিয়ালে যারা খেলে, জানে লক্ষ্যটা কী ভাবে আরও উচুঁতে নিয়ে যেতে হয়। আমরা সমস্ত চ্যাম্পিয়নশিপে জেতার আশা রাখি। তাই ত্রিমুকুট জেতাটা অবশ্যই আমাদের মাথায় রয়েছে।”
তবে রোনাল্ডো-র্যামোস-বেঞ্জিমারা যতই এই মরসুমে ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকুন এই টিমের সঙ্গে তাঁর সময়ের রিয়াল মাদ্রিদ টিমের (গ্যালাকটিকোস) তুলনা করতে চান না জিদান। যে টিমে তাঁর পাশাপাশি ছিলেন লুই ফিগো, ব্রাজিলের রোনাল্ডো, ডেভিড বেকহ্যাম, মাইকেল আওয়েন, রাউল, রবার্তো কার্লোসের মতো তারকারা। জিদান বলেন, “যখন আমি রিয়ালে খেলতাম সেই সময়ের সঙ্গে এখনকার টিমের তুলনা করাটা ঠিক হবে না। প্রত্যেকটা পর্বেরই কিছু ওঠা-নামা থাকে। এই টিমটা বেশ তরুণ। নিজেদের মেলে ধরা সবে শুরু করেছে। আমার সময়ে আরও পোড় খাওয়া দল ছিল।”
রোনাল্ডোদের সঙ্গে সহকারী কোচের কাজ করার পাশাপাশি ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ীর ভবিষ্যতে লক্ষ্য কী সেটাও নিজেই ফাঁস করলেন। সেটা ভবিষ্যতে ম্যানেজারের দায়িত্ব সামলানো। জিদান বলেন, “ম্যানেজার হতে চাই। তাই এমন একজনের কাছে শিখছি যাঁকে দীর্ঘ দিন চিনি। কার্লো আন্সেলোত্তির কোচিংয়ে আমি খেলেছিও। ওঁর কাছেই জোর কদমে শেখার কাজটা করে যাচ্ছি। যাতে এক দিন এই দায়িত্বটা আমিও নিতে পারি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy