সাক্ষীর জয়ধ্বনি। সোমবার। ছবি: বিসিসিআই
প্রথম ম্যাচে দুশোর উপর রান তুলে জিততে পারেননি। তবু দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এ বার অবশ্য ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি। দিল্লিকে ৯৩ রানে হারিয়ে সপ্তম আইপিএলে প্রথম জয়টা তুলে নিল চেন্নাই সুপারকিংস। চেন্নাইয়ের ১৭৭-৭ তাড়া করে দিল্লি থেমে যায় ৮৪ রানে। এই নিয়ে দুটো ম্যাচে হারল দিল্লি।
দিল্লি টিমে বাংলার দুই ক্রিকেটারের দিনটা এ দিন ভাল গেল না। বিশেষ করে মনোজ তিওয়ারির। টানা তিন নম্বর ম্যাচে ব্যর্থ হলেন মনোজ। এ দিন শূন্য করে ফিরে গেলেন। এই নিয়ে তিন ম্যাচে ১১ বল খেলে নয় রান মনোজের। আগের দুটো ম্যাচের মতো মহম্মদ শামি এ দিন শুরুতে উইকেট তুলতে পারেননি। পরে ফাফ দু’প্লেসিকে আউট করলেও চার ওভারে ৪৫ রান দেন।
চেন্নাই ইনিংসে ৭৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ব্রেন্ডন ম্যাকালাম (৯) আর ডোয়েন স্মিথ (২৯) ফিরে গেলেও ধোনিদের বড় রান তোলা আটকায়নি। ৪১ বলে পাঁচটা চার আর একটা ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৬ রানের জোরে টিমের স্কোর ভাল জায়গায় পৌঁছে দেন রায়না। দু’প্লেসি আর ধোনি এর পর দ্রুত রান তোলার কাজটা সামলাচ্ছিলেন। শামি তাঁদের জুটিতে ভাঙন ধরান দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেনকে ২৪ রানে ফিরিয়ে দিয়ে। অন্য প্রান্তে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ধোনিকে (১৫ বলে ৩২) থামান জয়দেব উনাদকট (৩-৩২)। ১৯তম ওভারে পর পর ধোনি আর রবীন্দ্র জাডেজাকে (৭) ফিরিয়ে দেন উনাদকট। শেষ দিকে দ্রুত চেন্নাইয়ের চার উইকেট তুলে নিলেও দিল্লির বোলাররা শেষ চার ওভারে ধোনিদের ৫৮ রান তোলা আটকাতে পারেননি।
কেভিন পিটারসেন এখনও সুস্থ নন। তাই দীনেশ কার্তিক টিমে কোনও পরিবর্তন করেননি। কিন্তু ধোনি তিনটি পরিবর্তন করেন। ডোয়েন ব্র্যাভো গত ম্যাচেই কাঁধে চোট পেয়ে পাঁচ থেকে ছ’সপ্তাহের জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় তাঁর জায়গায় নামেন বেন হিলফেনহস। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার না থাকায় ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা ঠেকাতে মিঠুন মানহাস দলে আসেন পবন নেগির জায়গায়। বোলিংয়েও পরিবর্তন করে চেন্নাই। আশিস নেহরার জায়গায় আসেন ঈশ্বর পাণ্ডে।
আবু ধাবির পিচে এখনও সবুজ ঘাসের আভাস থাকায় ম্যাচে পেসাররাই দাপট দেখাবে, প্রথম ইনিংসে উনাদকটের পারফরম্যান্সে সে রকমই ইঙ্গিত ছিল। দিল্লি রান তাড়া করতে নামার পর সেটা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। ঈশ্বর পাণ্ডে পাঁচ ওভারের মধ্যেই প্রথমে মায়াঙ্ক অগ্রবাল (২) আর মনোজকে ফিরিয়ে দেন। মোহিত শর্মা আর এক ওপেনার মুরলী বিজয়কে (১১) আউট করার পর দিল্লির ব্যাটিংয়ে ধস নামে। কার্তিক (২১), দুমিনি (১৫) ফিরে যাওয়ার পর কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন জিমি নিশাম (২২)। জাডেজা (২-১৮) তাঁকে থামানোর পর ১৫.৪ ওভারেই শেষ হয়ে যায় দিল্লির ইনিংস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy