ডানকান ফ্লেচার। অবশেষে মুখ খুললেন।
ভারত অধিনায়কের নতুন করে ব্যাট-গ্লাভস নিয়ে নেমে পড়া।
রবীন্দ্র জাডেজার ফিটনেস টেস্টের ব্যবস্থা।
টেস্ট সিরিজে বেধড়ক মার খাওয়া ভারতীয় পেসারদের পাশে কোচ ডানকান ফ্লেচারের দাঁড়ানো।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ধ্বংস করে দিয়ে অস্ট্রেলীয়দের প্রবল তর্জন-গর্জন।
এমসিজিতে ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে ভারতীয় শিবিরের আশেপাশে এ সব ঘটনাই ঘটে থাকল।
রবিবার মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে যুদ্ধ শুরু করছে ভারত। ডেভিড ওয়ার্নার-মিচেল স্টার্করা আবার তাণ্ডব রবিবারের জন্য ফেলে না রেখে এ দিন থেকেই শুরু করে দিলেন ইংরেজদের গুঁড়িয়ে দিয়ে। অস্ট্রেলীয়দের আত্মবিশ্বাস এখন এতটাই মারাত্মক যে, হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েও ফুরফুরে ওয়ার্নার। বলছেন, “বরফ ঘষে রবিবার ঠিক নেমে যাব।” স্টার্ক ইংরেজদের আত্মমর্যাদায় খোঁচা দিয়ে বলে রেখেছেন, “কয়েকটা ক্ষত ওদের আবার নতুন করে দেখা দিল। এখনও তো থাকতে হবে মাস কয়েক এখানে।”
ঘটনা হল, থাকতে হবে ভারতকেও। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপের আগে এটাই ভারতের শেষ ওয়ান ডে সিরিজ। যেখানে বোঝা যাবে টিমটার বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে। আরও বোঝা যাবে, ভারতীয় ওয়ান ডে টিমের অপরিহার্য সদস্য হিসেবে যাঁকে ধরা হয়, সেই রবীন্দ্র জাডেজার অবস্থা এখন ঠিক কী? তিনি ত্রিদেশীয় সিরিজে নামতে পারবেন, না পারবেন না? তার চেয়েও বড় প্রেক্ষাপটে— বিশ্বকাপেও তিনি শেষ পর্যন্ত পারবেন কি না?
মেলবোর্নে ফোন করে জানা গেল, আজ শনিবার জাডেজার ফিটনেস টেস্ট হবে। তার পরই নাকি পরিষ্কার হয়ে যাবে, জাডেজার অবস্থা এখন কী? টেস্ট সিরিজ চলার সময় কাঁধে চোট পেয়েছিলেন জাডেজা। তার পর তাঁকে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজে তো বটেই, বিশ্বকাপে পাওয়া নিয়েও সংশয় তৈরি হয়। শোনা গেল, জাডেজা নিজে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ফিট হয়ে ওঠার। কিন্তু তাঁর ভবিষ্যৎ কী দাঁড়াবে জানার জন্য আরও চব্বিশ ঘণ্টা অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
যদিও জাডেজার ফিটনেস টেস্টের চেয়েও ভারতীয় টিমের কাছে বেশি চিন্তা বর্তমানে টিমের বোলিং। টেস্ট সিরিজে ব্যাটিং ভাল হলেও বোলিং নিয়ে প্রবল ভুগতে হয়েছে। যার কারণ খুঁজতে গিয়ে ফ্লেচার পাচ্ছেন শামি-উমেশদের অনভিজ্ঞতাকে।
“মেনে নিচ্ছি, বোলারদের আরও অনেক বেশি খাটতে হবে। টেস্ট পর্যায়ে দায়িত্ব কতটা নিতে হয়, সেটাও বুঝতে হবে। কিন্তু এটাও মনে করি যে, ভারতীয় পেসারদের অহেতুক অনেক সমালোচনাও সহ্য করতে হয়। যেগুলো ওদের প্রাপ্য নয়,” বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন ভারতের কোচ। “এটা সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতার ব্যাপার। বিদেশে যেটা লাগে। ইশান্ত শর্মা যেটা কাজে লাগিয়েছে গোটা সিরিজ ধরে। কিন্তু তার পরেও দেখুন, শামি পনেরোটা উইকেট নিয়েছে টেস্ট সিরিজে। যা মিচেল জনসনের চেয়ে বেশি। উমেশ যাদব এগারোটা নিয়েছে, যা জশ হ্যাজলউডের চেয়ে মাত্র একটা কম। মনে রাখতে হবে, শামির এটা অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম সফর ছিল। উমেশ মাঝেমধ্যেই টিমে ঢোকে আর বেরোয়। সেখান থেকে এই পারফরম্যান্স করা সহজ নয়।”
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি— তাঁকে নিয়েও ফ্লেচার বেশ উচ্ছ্বসিত। টেস্ট ক্রিকেট থেকে আচমকা বিদায়ের পর ধোনিকে এ দিন আবার পুরনো পৃথিবীতে দেখা গেল। যেখানে তিনি নেটে পেসার-স্পিনারদের বিশাল-বিশাল শটে ফেলে দিলেন। ফ্লেচারও ধোনির অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুগ্ধ। “ওয়ান ডে ক্রিকেটটা হল, টিম ঝামেলায় পড়লে আপনি কী ভাবে অসম্ভব চাপটা সামলাচ্ছেন। রান তাড়া করার অসাধারণ রেকর্ডটাই বোঝায় আমরা সেটা কেমন সামলাই। ধোনির অ্যাটিটিউডই টিমটাকে নেতৃত্ব দেয়। ওর শান্ত মনোভাবের প্রভাব গোটা টিমের উপর পড়ে। অন্যান্য টিমগুলো শান্ত থাকতে পারে না বলেই চাপ নিতে পারে না। এমএস চাপটা ও ভাবে শুষে নেয় বলেই আমরা চাপে ভাল খেলি,” বলে দিয়েছেন ফ্লেচার।
আগামী রবিবার থেকে আগ্রহের গতিমুখে যে ভারত অধিনায়কই দাঁড়িয়ে থাকবেন, কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এ-ও শোনা গেল, সংসারে তাঁর কর্তৃত্ব নাকি এখন কিছুটা ভাগাভাগি হয়েছে। নানা ব্যাপারেই নাকি সেটা হচ্ছে। টিমের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় থাকা লোকজনই বলছেন।
সংসার নাকি এখন এমএসডির যতটা, বিরাট কোহলিরও ততটা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy