নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেকের পর থেকে ভারতের জার্সি গায়ে টানা খেলে চলেছেন। কোনও বিশ্রাম ছাড়াই। এমনকী, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচেও তাঁকে ছুটি দেননি ধোনি। এ বার আইপিএলে-ও পরপর ম্যাচ। মহম্মদ শামির কাছে এই অতিরিক্ত চাপ সামলানোর মূল মন্ত্র ‘ফিটনেস’। শামি বলছেন, “একশো শতাংশ ফিটনেস বজায় রাখার চেষ্টা করি সব সময়। চাপ সামলানোর জন্য এটাই আমার কাছে মূল মন্ত্র।”
আমিরশাহি পর্ব মিটিয়ে দেশে ফিরে এ বার আইপিএলের আসল লড়াইয়ের পালা। পাঁচ ম্যাচে চার পয়েন্ট পেয়ে দৌড়ে বেশ পিছিয়ে থাকা দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের প্রধান বোলার শামি বলছেন, “টুর্নামেন্টে যত এগোব, তত ভাল খেলব আমরা। প্রথম কয়েকটা ম্যাচে আমাদের কম্বিনেশনটা সে ভাবে জমে ওঠেনি। গোটা দুয়েক সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। ক্যাচ মিস হয়েছে। এগুলো হলে ছবিটা অন্যরকম হত। আর বোধহয় এ সব ভুল হবে না।”
যে দলের কোচ গ্যারি কার্স্টেন ও ক্যাপ্টেন কেভিন পিটারসেন, সেই দলের ক্রিকেটারের যে অনেক কিছু পাওয়ার আছে, তা জানিয়ে দিয়ে শামি বললেন, “গ্যারি, কেপি এঁরা কেউই কারও উপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দেন না। বরং প্রত্যেকের দক্ষতা অনুযায়ী তার সেরাটা আদায় করে নিতে জানেন। দু’জনের কাছেই অনেক কিছু শেখার আছে। গ্যারি তো সফল ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন বহু দিন। ওঁর কাছ থেকে যতটা পারা যায় শিখে নেওয়াই আমার আসল লক্ষ্য।” ভারতীয় উইকেটে বাড়তি সুবিধার প্রসঙ্গ তুললে সাফ জানিয়ে দেন, “ও সব ভাবার সময় কোথায়? এই ক্রিকেটে এক মুহূর্ত বলুন বা এক বল বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে যাও। উইকেট যেমন হবে, হবে।”
সব শেষে অতিরিক্ত চাপ নেওয়া প্রসঙ্গে বললেন, “যত ফিটনেস বাড়াব, তত চোট প্রবণতা কমবে। এটাই মাথায় রেখে নিখুঁত ফিটনেস বজায় রাখার চেষ্টা করি। এখনকার ক্রিকেটে চাপ তো সামলাতেই হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy