কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত হতাশ সাইনা নেহওয়াল!
দেশের অন্যতম সেরা ব্যাডমিন্টন তারকার ক্ষোভের মূলে এ বারের পদ্মভূষণ সম্মান। যে সম্মানের জন্য তাঁর নাম ফিরিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রক জোড়া অলিম্পিক পদকের মালিক, কুস্তিগির সুশীল কুমারের নাম সুপারিশ করেছে। সাইনা এতই মুষড়ে পড়েছেন যে একের পর এক টুইটে মনের কষ্ট পৌঁছে দিয়েছেন জনসাধারণের কাছে। তাঁর প্রধান দাবি, নিয়ম মেনে পদ্ম-সম্মান দেওয়া হলে, তাঁর নাম বাদ যেতেই পারে না। কিন্তু নিয়ম ভেঙে ‘স্পেশ্যাল কেস’ হিসাবে সুশীলের নাম পাঠানো হয়েছে।
বিশ্বের চার নম্বর টুইটারে লিখেছেন, “সুশীল মহান প্লেয়ার। যোগ্য হিসাবেই সম্মানটা পাবেন। কিন্তু অলিম্পিকে পদক তো আমিও জিতেছি। তা হলে আমাকে নয় কেন?”
স্বভাববিরুদ্ধ ভাবে সাইনা এমন প্রতিবাদী হওয়ায় অনেকেই আশ্চর্য। সাধারণত নিজের পারফরম্যান্সের বাইরে অন্য কোনও বিষয়ে তেমন কথা বলেন না হায়দরাবাদের চব্বিশ বছরের মেয়ে। প্রতিবাদে ফেটে পড়া তো দূরের ব্যাপার। অথচ সেটাই করে বসেছেন সাইনা। লিখেছেন, “গত বছর আমাকে এই বলে ফেরানো হয় যে কোনও খেলোয়াড় একবার পদ্ম-সম্মান পেলে নিয়ম অনুযায়ী পরের পাঁচ বছর আর তার নাম বিবেচিত হয় না।” ২০১০-এ পদ্মশ্রী পান সাইনা। তার পাঁচ বছর পূর্ণ হচ্ছে মনে করিয়ে পরের টুইট, “সুশীলকে ২০১১-য় পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ বছরের নির্দেশিকা মানা হলে ওঁর নাম তো বিবেচনাতেই আসার কথা নয়!”
পদ্মভূষণের জন্য ব্যাডমিন্টনে দেশকে প্রথম অলিম্পিক পদক দেওয়া সাইনার নামটা বাই থেকেই পাঠানো হয়েছিল ক্রীড়া মন্ত্রকের কাছে। কিন্তু কর্তারা অলিম্পিকে একটি রুপো ও একটি ব্রোঞ্জের মালিক সুশীলকে বেশি যোগ্য মনে করেন। সাইনার দাবি, তিনিও কোনও অংশে কম যোগ্য নন। ২০০৯-এর অর্জুন বিজয়ী, ২০১০-এ পদ্মশ্রীর সঙ্গে খেলরত্ন পাওয়া সাইনার টুইট, “২০১০-এর পর কমনওয়েলথ গেমসে সোনা পেয়েছি, আলিম্পিকে ব্রোঞ্জ। বিশ্বের দু’নম্বর হয়েছি। অনেক ক’টা সুপার সিরিজ খেতাব জিতেছি। মনে হয়েছিল, আমিও যোগ্য।” বিষয়টি নিয়ে গতকাল ক্রীড়া দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেও লাভ হয়নি। সাইনা লিখেছেন, “ওঁরা বলছেন সুশীলের নাম চলে গিয়েছে। আমি শুধু ওঁদের অনুরোধ করতে পারি। যদি আমরা দু’জনেই পদ্মভূষণ পাই, মন্দ হবে না।”
ক’দিন আগে কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন অর্জুন পুরস্কার কমিটি তাঁকে অগ্রাহ্য করায় আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অর্জুন পুরস্কার আদায় করে নিয়েছিলেন বক্সার মনোজ কুমার। সাইনাও কি এ বার সেই পথের কথা ভাববেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy