মোরিনহো ফের মোরিনহোয়। সবসময় বিতর্কে থাকতে ভালবাসেন যিনি, সেই চেলসির পর্তুগিজ কোচ হোসে মোরিনহো আবার প্রতিটা ব্রিটিশ দৈনিকের শিরোনামে। তরুণ প্রজন্মের ফুটবলারদের গায়ে ‘লোভী’-র তকমা লাগিয়ে দিলেন ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ান।’
এক ব্রিটিশ ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকারে মোরিনহো বলেন, “আমার মনে হয় কয়েক বছর আগে ফুটবলাররা খেলাটায় মনোযোগ দিত আগে। তারপর কেরিয়ার শেষে ধনী হওয়ার কথা ভাবত। কিন্তু এখন ছবিটা পুরো উল্টো।” সঙ্গে মোরিনহো যোগ করেন, “এখন তরুণ ফুটবলাররা আগে রোজগার করতে চায় তার পর খেলার দিকে মন দেয়।” ফুটবল ক্লাব কর্তাদের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন মোরিনহো। তাঁর বক্তব্য, “ফুটবলারদের আশেপাশে যারা থাকে তারা ওদের মাথায় অর্থের ব্যাপারটা ঢোকায়। প্রথম চুক্তিতেই সব ক্লাব চেষ্টা করে কত বেশি টাকা দেওয়া যায়। অথচ তখনও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বা ঘরোয়া লিগে একটাও ম্যাচ খেলেনি সেই ফুটবলার।”
সঙ্গে মোরিনহো বলেন যে, দলবদলের বাজারে এমন ফুটবলারদের উপরে তাঁর নজর থাকে, যার কাছে অর্থ উপার্জনের থেকেও বেশি জরুরি ক্লাবের হয়ে ট্রফি জেতা। চেলসির পর্তুগিজ কোচ বলেন, “আমার নীতি হচ্ছে ঠিক ছেলেটাকে সই করানো। যার লক্ষ্য হবে ট্রফি জেতা। কারণ, ট্রফি জেতাটাই একজন ফুটবলারের আসল কাজ।” নিজের দলের কিংবদন্তি ফুটবলার জন টেরি, ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের কাছ থেকে যে তরুণ ফুটবলারদের শিক্ষা নেওয়া উচিত, সেই কথা জানিয়ে মোরিনহো বলেন, “চেলসির সব তরুণ তারকাদের আমি বলি টেরি, ল্যাম্পার্ডদের থেকে শিক্ষা নাও। যারা কেরিয়ারে সব সময় দলকে আগে রেখেছে টাকার থেকে।”
শুধু মাত্র লোভী নয়। এই প্রজন্মের ফুটবলাররা ‘সেলিব্রিটি’ হতে চায় ফুটবল খেলার আগে, সে কথা জানিয়ে মোরিনহো বলেন, “আজকাল সব ফুটবলারই টুইটার, ফেসবুক করতে ব্যস্ত। তাদেরকে আটকাব কী করে?” রিয়াল মাদ্রিদের কোচ থাকা কালীন মোরিনহো সাক্ষী ছিলেন যে ফুটবলাররা ‘হেয়ারস্টাইল’ নিয়ে বেশি ভাবত ফুটবলের থেকে। তাঁর সাফ কথা, “আমার এখনও মনে আছে যখন রিয়ালের কোচ ছিলাম দলের প্রায় সব ফুটবলাররাই আয়না দেখত ম্যাচে নামার আগে।” সঙ্গে যোগ করেন, “এমনও হয়েছে যে রেফারি ডাগআউটে অপেক্ষা করছে। কিন্তু অনেকে হেয়ারস্টাইল ঠিক করতে ব্যস্ত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy