টুর্নামেন্ট শেষ দুই দলেরই। মহম্মদ নবির সঙ্গে বিরাট কোহলির শুভেচ্ছা বিনিময়। ছবি: এএফপি।
কোহলির ক্যাপ্টেন্সি ভাল ক্যাপ্টেন হওয়ার গুণগুলোর ইঙ্গিত মিলেছে। ভাল অধিনায়ক সে-ই, যে কিনা ম্যাচ যে অবস্থাতেই চলুক, তার চেয়ে দু’ওভার এগিয়ে থাকে নিজস্ব চিন্তাভাবনায়। বিরাট কোহলির মধ্যে সেটা দেখা গিয়েছে। বোলিং পরিবর্তন ভাল। দুর্বল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও আগের ম্যাচের প্রথম একাদশ হয়তো পাল্টায়নি। কিন্তু রাহানেকে দিয়ে ওপেন করিয়েছে। পাঁচ বিশেষজ্ঞ বোলারও খেলাল। প্রথম একাদশ না পাল্টালেও এগুলো কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নয়। বিরাটের নেতৃত্বে একটা আক্রমণাত্মক মেজাজ আছে। পাকিস্তানের ব্যাটিং যখন ভাল হচ্ছে, তখনও উইকেট তুলতে স্পিন বোলিংয়ে স্লিপ রেখেছিল।
শুধু বলব, বিরাটের প্রথম থেকে পূজারাকে খেলানো উচিত ছিল। এমনকী আফগানিস্তান ম্যাচে রায়ডুকে দিয়ে উইকেটকিপিং করিয়ে পূজারাকে মিডল অর্ডারে চেষ্টা করে দেখতে পারত। দীনেশ কার্তিকের জায়গায়। টুর্নামেন্টে ভারতের ব্যাটিং অর্ডারও ঠিক হয়নি। ধবনের ওপেনিং পার্টনার রাহানে/পূজারার মধ্যে একজন হলে ভাল হত। রোহিত কিছুতেই নয়।
রেটিং ৮/১০
ওপেনারদের পারফরম্যান্স কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকাতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতের ওপেনিং জুটি যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। ধবন ঠিক আছে। কিন্তু ওপেনিংয়ে রোহিতকে দিয়ে চলবে না। ধবনের সঙ্গে রাহানে সঠিক ওপেনিং জুটি। ওয়ান ডে-তে পূজারাকে যদি মিডল অর্ডারে জায়গা না দেওয়া যায়, তা হলে ওকেও ওপেনিংয়ে ভাবা যেতে পারে। তবে রাহানে সারা জীবন টপ-অর্ডারে, প্রথম তিন জনের মধ্যে ব্যাট করে এসেছে। সে জন্য ওকে প্রথম একাদশে রাখলে, ওপেনিংয়ে নামানো ভাল।
রেটিং ৪/১০
মিডল-অর্ডার ব্যাটিং বিরাটের পারফরম্যান্স নিয়ে কিছু বলার নেই। ব্রিলিয়ান্ট। রায়ডুর থিতু হয়ে যাওয়াটা ইতিবাচক দিক। এশিয়া কাপে ভারতের আসল ম্যাচ ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। গ্যালারির সমর্থন অনেকটাই পাকিস্তানের দিকে ছিল! সেখানে ম্যাচের প্রেশারকুকার সিচুয়েশনে হাফসেঞ্চুরি করেছে রায়ডু। তাড়াতাড়ি গোটা চারেক উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে!
রেটিং ৬/১০
পেস বোলিং এটাকে দু’ভাগে ভাগ করব। শুরুর দশ ওভারের জন্য পাঁচ নম্বর, ডেথ ওভারের জন্য পাঁচ নম্বর। শুরুর দিকের জন্য ভারতীয় পেসাররা পাঁচে দেড় পাবে। ডেথ ওভারের জন্য পাবে পাঁচে সাড়ে তিন।
ভারতীয় পেসাররা শুরুর ১০-১৫ ওভার শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মোটেই ভাল করেনি। ওয়ান ডে-র নতুন নিয়মে এখন পুরো ৫০ ওভার সার্কেলের বাইরে সর্বাধিক চার জন মাত্র ফিল্ডার রাখা যায়। যার মানে বিপক্ষের যদি ২৫ ওভারে ১০০-১ স্কোরও থাকে, ৫০ ওভারে তিনশোর বেশি রান তুলবে। ভারতীয় পেসারদের বিরুদ্ধে পরে ব্যাট করা শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের ওপেনাররা দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেয়। আগে ব্যাট করলে ও সব জায়গা থেকে তিনশো ওঠে।
ডেথ ওভারের চেয়ে ভাল বোলিং করেছে পেসাররা। শামি ধারাবাহিক ভাল। পাকিস্তান ম্যাচে ৪৯ ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের ওভারটা অনেক দিন মনে রাখব। মাত্র তিন রান দিয়ে ম্যাচটা প্রায় এনেই দিয়েছিল ভুবি। শেষ ওভারটায় শামি না থাকায় ভারত জিততে পারেনি।
রেটিং ৫/১০
স্পিন বোলিং বাংলাদেশের স্পিনার-বন্ধু পিচের কথা মাথায় রেখেও বলব খুব ভাল পারফরম্যান্স আমাদের স্পিনারদের। বিশেষ করে অমিত মিশ্রের। অশ্বিন-জাডেজার সমালোচনা কোথাও কোথাও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, দুটো প্রধান ম্যাচে ওরা বা ওদের মধ্যে কেউ বল হাতে পেয়েছে যখন বিপক্ষ ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৭০ বা ১৫ ওভারে ৯০-১।
রেটিং ৬/১০
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সম্ভাবনা এই দলের মিডল অর্ডারে দু’জন টি-টোয়েন্টি স্পেশ্যালিস্ট ব্যাটসম্যান যোগ দেবে। রায়না আর ধোনি। আমার মতে দু’জনই বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান। তা ছাড়া যুবরাজ আছে। ব্যাটিং অনেক শক্তিশালী হবে। বোলিং কম্বিনেশনে তিন পেসার-এক স্পিনার-এক স্পিনার অলরাউন্ডার আর ওপেনিংয়ে ধবন-রাহানে জুটি খেললে (রোহিত চারে) আমার মতে ভারতের নক আউটে উঠতে সমস্যা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy