শিকারের নাম শেন ওয়াটসন। মরুশহরে জাডেজা-ম্যাজিক।
সাম্প্রতিক কালে ধোনির ভারতের অনেক জয়ে অবদান থাকে তাঁর ‘স্যর জাডেজা’র। এ বার আইপিএলেও ধোনির সিএসকে-কে জেতালেন ‘স্যর জাডেজা’। প্রথমে প্রবল চাপের মুখে ব্যাট হাতে ডেথে ৩৬ নট আউট থেকে চেন্নাই সুপার কিংসকে লড়াই করার মতো রান দিলেন বোর্ডে। ২০ ওভারে ১৪০-৬। তার পর রাজস্থান রয়্যালস ইনিংসের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বল হাতে তিন ওভারে তুলে নিলেন ৪ উইকেট। তাতেই রাজস্থান কুপোকাত। ১৯.৫ ওভারে ১৩৩ তুলে হারল ৭ রানে।
টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক শেন ওয়াটসন বলেছিলেন, “পিচটা মনে হয় আগাগোড়াই একই রকম থাকবে। সে জন্য রান তাড়া করাই বোধহয় ভাল।” আর চেন্নাই সুপার কিংসের অপরিবর্তিত দল রাখা নিয়ে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মন্তব্য ছিল, “প্রথম এগারো আমাদের একদম ব্যালান্সড। কেন পাল্টাব? পিচ যে রকমই হোক না কেন!”
কিন্তু আমিরশাহিতে রাতের ম্যাচে দেখা গেল দুই অধিনায়কই আংশিক ঠিক, আংশিক বেঠিক! ওয়াটসনেরা টি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রে মোটামুটি সহজ টার্গেট (ওভার পিছু ৭) তাড়া করতে গিয়েই সঙ্কটে পড়ে গেলেন। শেষ পর্যন্ত হেরেও বসলেন। সিএসকের ১৪০-৬ টার্গেটের সামনে প্রথম সাত ওভারের মধ্যে হয়ে দাঁড়াল ৪৪-৪। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের স্লো পিচে বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা প্রথম ওভারেই সঞ্জু স্যামসন (১৬) আর ওয়াটসনকে (৭) ডাগআউটে ফিরিয়ে দিয়ে মোক্ষম ধাক্কা মারেন রাজস্থানকে। তার আগেই চলে গিয়েছেন দুই ওপেনার অভিষেক নায়ার (৫) আর অজিঙ্ক রাহানে (১৫)।
সিএসকে-র ব্যাটিংও আইপিএল-সাতে এখনও অবধি সবচেয়ে মামুলি দেখিয়েছে এ দিনই। ডোয়েন স্মিথের ঝোড়ো ওপেনিং (২৮ বলে ৫০) সত্ত্বেও ক্রিজের অন্য প্রান্তে শুকনো পাতার মতো একে-একে ঝরে যান ম্যাকালাম (৬), রায়না (৪), দু’প্লেসি (৭), এমনকী এ রকম ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে বরাবরের সাহসী ব্যাট ধোনি-ও (৫)। ৫৯-১ থেকে চার ওভারের মধ্যে আচমকা ৭৪-৫ হয়ে পড়ে তখন সিএসকে ব্যাটিং ধুঁকছে। এই সময়ই ধোনির ‘স্যর জাডেজা’ জ্বলে ওঠেন। বলের আগেও ব্যাট হাতেও প্রতি-আক্রমণ করেন জাডেজা (৩৬ নঃআঃ)। ডেথে ক্রিজের একটা দিক ধরে রেখে তিনিই বলতে গেলে চেন্নাইকে লড়াই করার মতো রান বোর্ডে রেখে যান। রাজস্থানের সার্বিক বোলিং ভাল হয়েছে। কোনও বিশেষ এক জনের দুর্দান্ত করার বদলে। তার মধ্যেই রজত ভাটিয়াকে (৪ ওভারে ২-১৩) আলাদা করে চোখে পড়বেই। যদিও দিনের শেষে তাঁদের সবই জলে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy