ন’বছরের খরা শেষ পর্যন্ত মেটালেন এক সাইঁত্রিশের যোদ্ধা।
গত ন’বছর ধরে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ খেলতে যত বার গিয়েছে পাকিস্তান, হেরে ফিরে এসেছে। ২০০৯, ২০১২, ২০১৪— বছর এগোলেও লঙ্কায় পাক-ভবিতব্য পাল্টায়নি। কিন্তু এ বার সেটা শুধু পাল্টালই না, পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ জিতল পাল্লেকেলে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে রেকর্ড রান তাড়া করে। জিতল ৩৭৭ তাড়া করে।
এবং জেতালেন সাঁইত্রিশের ইউনিস খান। ১৭১ ন:আ: করে!
টেস্ট জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৩৭৭। যা মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে তুলে দেয় পাকিস্তান। এর আগে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, ১৯৯৪ সালে। শান মাসুদ প্রথমে সেঞ্চুরি (১২৫) করে যান। কিন্তু তার চেয়েও প্রভাবে বেশি থেকে যায় ইউনিসের সেঞ্চুরি। ২৭১ বল খেলে ১৮ বাউন্ডারি সমেত অপরাজিত ১৭১ থেকে পাকিস্তানকে জিতিয়ে দেন তিনি। যা দেখে তোলপাড় পরে গিয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেটমহলে।
প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক রামিজ রাজা বলছেন, ‘‘ইউনিস নিজের জীবনের সেরা ইনিংসগুলোর একটা খেলে গেল। ওর সামনে শ্রীলঙ্কা স্পিনারদের রীতিমতো অসহায় দেখাচ্ছিল।’’ এক সময় ইউনিসের ব্যাটিং-সঙ্গী মহম্মদ ইউসুফ আবার বলেছেন, ‘‘ওকে দেখলে মনে হয় স্টিল দিয়ে তৈরি। এত ফিট এখনও!’’ কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান হানিফ মহম্মদের মনে হচ্ছে, ইউনিসের এই ইনিংস তরুণ মাসুদকে প্রেরণা দিয়ে যাবে। ‘‘ও এত বড় ব্যাটসম্যান যে ওর উপস্থিতিতেই মাসুদের মতো তরুণরা প্রেণা পায়,’’ বলে দিচ্ছেন হানিফ।
আর ইউনিস— তিনি কী বলছেন? ‘‘আমি সব সময় চাই টিমের হয়ে কিছু না কিছু করতে। সব কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে চাই। গত কাল যখন আমরা ফিল্ডিং করছিলাম, তখনই জানতাম চারশো তাড়া করতে হবে। আমি তো কৃতিত্ব দেব শান মাসুদকে। কী দুর্দান্ত খেলল! এরা খুব ভাল ক্রিকেটার। আমি আর মিসবা এখন থেকে ওদের সেই ভরসাটা দেব, যাতে ওরা চাপের মুখে নিয়মিত ভাল খেলে যেতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy