মিসবা উল হকের পর এবার ইউনিস খান। ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চলেছেন তিনিও। জানিয়ে দিলেন একই পথে হেঁটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পরই অবসর নেবেন ইউনিস। ৪০ বছরের এই টেস্ট ব্যাটসম্যান শনিবারই তাঁর অবসরের কথা ঘোষণা করে দিলেন। অবসরের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সব প্লেয়ারকেই একদিন অবসর নিতে হয়। সেরা সেরা ক্রিকেটারদেরও খেলাকে বিদায় জানাতে হয়। কিন্তু খেলাটা চলতে থাকে। অবসরের পরও আমি পাকিস্তানের সঙ্গে থাকব। আমি খুব চাপের মধ্যে রয়েছি। সবার থেকে ফোন পাচ্ছি। কিন্তু প্লেয়ারের জীবনে একটা সময় আসে যখন এই সিদ্ধান্তটা নিতে হয়।’’
পর পর দু’জনের অবসরে পাকিস্তান ক্রিকেট বড় ধাক্কা খেল। দলে কিছুটা অভিজ্ঞতার ঘাটতিও হল। যা ফিরে পেতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। ইউনিস বলেন, ‘‘আমি সব সময় দেশের ক্রিকেটের জন্য মাথা উঁচু করে লড়ে গিয়েছি। যারা আমাকে চেনে তারা জানে, আমি যতটা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল দেশের ক্রিকেটের জন্য দিয়েছি। আর পাকিস্তানকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছি। যদি আমি কোনও ভুল করে থাকি তবে সেটা কেউ আশা করি মনে রাখবে না।’’ প্রথমশ্রেনীর ক্রিকেটে ইউনিসের অভিষেক হয়েছিল ১৯৯৯এ।
আরও খবর: টেস্টে ভারতের বিরুদ্ধে অধিনায়কত্ব করতে পারলাম না, এটাই হতাশা
২০০০এই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। অভিষেকেই সেঞ্চুরি করে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন তিনি। বলেন, ‘‘আমি যখন দলে আসি তখন সেউ দলে কে নেই, ওয়াসিম আক্রাম, রশিদ লতিফ, ইনজামাম-উল-হক ও আরও কত গ্রেট প্লেয়াররা ছিলেন। নিজেকে প্রমাণ করেই দলে থেকেছি। কিন্তু এটাই সঠিক সময়। কিন্তু অন্য কোনওভাবে ক্রিকেটের সঙ্গে আমার যোগাযোগ তো থাকবেই।’’ তিনিই পাকিস্তানের একমাত্র ক্রিকেটার যাঁর ঝুলিতে রয়েছে ন’হাজারের উপরে রান। সম্প্রতি উইজডেন ক্রিকেট ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ারের সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ইউনিসের ঝুলিতে রয়েছে ২৬৫টি একদিনের ম্যাচে ৭২৪৯ রান। ২০১৫তেঅ ওয়ান ডে থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy