উৎসব: জন্মদিনে আলেসান্দ্রোর সঙ্গে টোনি। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
জবি জাস্টিনের সই নিয়ে বিতর্ক নতুন দিকে মোড় নিল। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে সাত বছর আগের অস্ট্রেলীয় টোলগে ওজবির মতোই হয়তো দেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারের সই নিয়ে ঝামেলা শুরু হবে।
ইস্টবেঙ্গলে টোকেন দিয়েও এটিকের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেছেন আই লিগে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা। শোনা যাচ্ছিল, শুধু টোকেন নয়, একটি সম্মতির চিঠিও নাকি ক্লাবকে দিয়েছিলেন জবি। বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকা তাঁর সেই সম্মতিসূচক চিঠি ও সই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এ দিন পাঠিয়ে দিলেন ফেডারেশন ও আইএফএ-র কাছে। সঙ্গে চিঠি দিয়ে লাল-হলুদের পক্ষ থেকে সর্বভারতীয় ও রাজ্য ফুটবল সংস্থার সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হল, এই কাগজপত্র দেখে তাঁরাই বলুন, জবি অন্য কোথাও সই করতে পারেন কি না।
ফেডারেশন সচিব এ দিন এএফসির সভায় যোগ দিতে চলে গিয়েছেন কুয়ালা লামপুরে। তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে মুম্বই থেকে ফোনে আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের চিঠি এবং কাগজপত্র পেয়েছি। ফেডারেশন সচিবকেও ওরা তা জমা দিয়েছে। কলকাতায় ফিরে সিদ্ধান্ত জানাব।’’ লাল-হলুদের কাছে থাকা চিঠিতে জবি কী লিখেছেন তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে ইস্টবেঙ্গলের এক কর্তা দাবি করলেন, ‘‘জবির যে চিঠি বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে তা আমরা দেখেছি। ওই চিঠি নিয়ে অনেক দূর যাওয়া যেতে পারে। দেখি ফেডারেশন ও আইএফএ কী বলে।’’
জবি অবশ্য এ দিন ক্লাবের অনুশীলনে আসেননি। সূত্রের খবর, তাঁকে মাঠে আসতে বারণ করে দিয়েছেন কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসই। জবির সইয়ের পরে বিনিয়োগকারী সংস্থার চেয়ারম্যান কী সিদ্ধান্ত নেন তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন লাল-হলুদের কর্তারা। এ দিন সকালেই চেয়ারম্যান ফোন করেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারকে। অনুরোধ করেন জবির বিষয়টি দেখতে। রাতে তিনি বললেন, ‘‘চেয়ারম্যান জবির বিষয়টি দেখতে বলেছেন। সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ সূত্রের খবর, ক্লাব কর্তারা লড়াইয়ে যাওয়ার আগে জবির সঙ্গে কথা বলতে চান। জবিকে নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই আরও দু’বছরের জন্য ব্রেন্ডন ভানলালরেমডিকার সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলল ইস্টবেঙ্গল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy