চ্যালেঞ্জ: দিল্লির ধোঁয়াশায় সঙ্কটে জনজীবন।
ভারত-শ্রীলঙ্কা চলতি সিরিজের শেষ টেস্টের ভাগ্যে কী হতে যাচ্ছে?
বৃষ্টি বিঘ্নিত ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই এই প্রশ্ন কিন্তু ভালমতো উঠে পড়ল। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দিল্লি টেস্ট শুরু হচ্ছে ২ ডিসেম্বর থেকে। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে, রাজধানী যে ভাবে ধোঁয়াশা বা স্মগের শিকার হয়েছে, তাতে করে ওখানে টেস্ট ম্যাচ হওয়া কতটা স্বাস্থ্যসম্মত।
এই মুহূর্তে তীব্র ধোঁয়াশার জেরে পরিবেশ দূষণের মাত্রা চরমে উঠেছে দিল্লিতে। মাঝে স্কুল ছুটিও দিয়ে দিতে হয়েছে। ‘মাস্ক’ পরেও ঘুরতে দেখা গিয়েছে অনেককে। অনেক বিমানও নামতে না পেরে ফিরে এসেছে। এই অবস্থায় বিরাট কোহালি-দীনেশ চণ্ডীমলদের লড়াই সেখানে হওয়া সম্ভব নয় বলেই অনেকে মনে করছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আসন্ন কোটলা টেস্টকে মজা করে ‘মাস্ক টেস্ট’ও বলা হচ্ছে। লেখা হয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এ বার ‘মাস্ক টেস্ট’-এর আয়োজন করছে দিল্লিতে। কিন্তু ব্যাপরটা এখন আর ঠাট্টার পর্যায়ে নেই। আশঙ্কা শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য নিয়ে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় বোর্ড কর্তারা হাল্কা করে নজরও রাখছেন পুরো ব্যাপারটার ওপর। তবে তৃতীয় টেস্ট বলে তাঁরা এখনও অপেক্ষা করে দেখতে চান। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হলে টেস্ট সরিয়ে নেওয়া হবে। ভারতীয় দলের কাছে অবশ্য এই নিয়ে এখনও কোনও খবর নেই।
দিল্লিতে তৃতীয় টেস্ট হওয়া নিয়ে যে সব প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেটমহলে, তা এ রকম: সকাল এবং বিকেলে যদি স্মগের সমস্যায় খেলা না হতে পারে, তা হলে কী হবে? দিনে ছ’ঘণ্টার মধ্যে তা হলে কতটা সময় খেলা করা যেতে পারে? একেই ইডেন টেস্টে প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে বৃষ্টির জন্য। তার ওপর দিল্লি টেস্টেরও একই হাল হলে সিরিজ কতটা জমবে, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এ রকম পরিবেশে পাঁচ দিন ধরে মাঠে থাকলে ক্রিকেটারদের শারীরিক সমস্যা হবে কি না। এই মুহূর্তে দূষণের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই দিল্লি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে ক্রিকেটারদের সেখানে পাঠানো হবে, তা নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে যদি দিল্লি থেকে টেস্ট শেষ পর্যন্ত সরে যায়, তা হলে কোথায় শেষ টেস্ট খেলা হবে? বোর্ডের বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, দু’টো কেন্দ্রের কথা ভাবা হচ্ছে। এক, মুম্বই। দুই, বেঙ্গালুরু। বোর্ডের একটা অংশ চাইছে, দিল্লিতে টেস্ট না হলে কোথায় হবে, সেটাও আগেভাগে ঠিক করে রাখতে।
দিল্লির পরিবেশ নিয়ে আগের দিনই টুইটারে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন কোহালি। তিনি বলেছিলেন, পরিবেশের সঙ্গে লড়াইয়ে সবাইকে এক হয়ে খেলতে হবে। না হলে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। বিরাট বলেছিলেন, দিল্লিকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এ বার দেখার, বিরাট কোহালির টিমকে কোটলায় খেলতে হয় কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy