সিমন্সের ব্যাটিং ঝড়। ছবি: এএফপি।
মাত্র দু’টো নো বল। আরও এই নো বলই শেষ করে দিল ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। মুম্বইয়ের ক্রিকেট মহলও মনে করছে কোনও পেসার যদি নো বল করেন, সেটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু কোনও স্পিনার নো বল করলে সেটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দলের হারের পর থেকেই নানা প্রশ্ন উঠে আসছে। কাটাছেঁড়া চলছে হারের কারণ খুঁজতে। টসে হেরে যাওয়ার পর ব্যাটিং করতে নেমে ধোনিরা রানের লক্ষ্যটা অনেকটাই রেখেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে। কিন্তু যে ভাবে বোলিং হল তাতে কেউই মেনে নিতে পারছেন না। নো বলের জন্য দু’বার প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন সিমন্স। বুমরা, অশ্বিন যে ভাবে একের পর এক নো বল করল, তাতে ম্যাচের রংটাই অনেকটা বদলে যায়। সিমন্স প্রাণ পেয়ে জ্বলে উঠেছিল। আর ও একাই দলটাকে ফাইনালে টেনে নিয়ে গেল নিপুণ ভাবে। প্রশ্ন উঠছে, অশ্বিনের মতো এক জন রেগুলার বোলার থাকা সত্ত্বেও কেন স্লগ ওভারে বিরাটকে বল করতে আনা হল। ব্যাটিংয়ে যে ভাবে দলের ছেলেরা সাড়া ফেলেছিল, বোলিংয়ে তেমন দাগ কাটতে না পারায় সুযোগটাকে কাজে লাগায় ব্রাভো-সিমন্সরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচে নানার আগে ভারতকে যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছিল। গেইল ফ্যাক্টরকে কাজে লাগাতে দেয়নি জসপ্রীত বুমরাহ। জ্বলে ওঠার আগেই গেইলকে তুলে নেন তিনি। তখন ভাবা হয়েছিল, একটা ফাঁড়া কাটল। কিন্তু এর পর বোলাররা একের পর এক যে ভাবে পারফরম্যান্স করল তা মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেটমহল থেকে আম জনতা। শিকাগো থেকে আসা বশির এক পাকিস্তানি চাচা যেমন বলেছেন, “পাকিস্তানকে সমর্থন করতে এসেছিলাম। দল হেরে গেল। ভেবেছিলাম ভারতকে ফাইনালে দেখব। সেই আশাও জলে গেল। হাজার ডলার খরচ করে এখানে এসেছিলাম। এখন ফিরে যেতে হবে। ফাইনালটা আর দেখব না।”
বশির চাচার মতো গোটা দেশবাসী হতাশ। হতাশ আপামর বাঙালিও। কারণ ফাইনালটা যে ইডেনেই হবে। এখানেই তারা দেখতে চেয়েছিলেন আরও একটা বিরাট-জাদু। আপাতত সেই আশা স্বপ্নই রয়ে গেল।
আরও পড়ুন...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy