জয়ী: চ্যাম্পিয়ন হয়ে মারিয়া শারাপোভা। ফাইল চিত্র
প্রতিদ্বন্দ্বীর শটটা কোর্টের বাইরে পড়তেই হাত দুটো তিনি জড়ো করলেন বুকে। মুখে বিস্ময় আর অবিশ্বাস মাখা হাসি। যেন বলতে চাইছিলেন, ‘শেষ পর্যন্ত পেরেছি তা হলে’। তিনি— মারিয়া শারাপোভা সত্যিই পারলেন।
তিয়ানজিন ওপেনের ফাইনালে জিতে ডোপিং কেলেঙ্কারির শাস্তি কাটিয়ে এপ্রিলে কোর্টে ফেরার পরে প্রথম ট্রফি জিতলেন। ফল রুশ তারকার পক্ষে ৭-৫, ৭-৬ (৮)। আড়াই বছরে যা প্রথম খেতাব তাঁর। ২০১৫-এ রোম ওপেনের পরে। গোটা টুর্নমেন্টে একটাও সেট না হেরে। তবে ফাইনালে জয়টাও কম নাটকীয় নয়।
ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বের ১০২ নম্বর আরিনা সাবালেঙ্কার বিরুদ্ধে দুই সেটেই (১-৪, ১-৫) পিছিয়ে গিয়েছিলেন শারাপোভা। প্রথম বার কোনও ডাব্লিউটিএ-র ফাইনালে নামা বেলারুশের ১৯ বছর বয়সির বিরুদ্ধে তাও হাল ছাড়েননি। দ্বিতীয় সেটে নাটক আরও জমে যায়। টাইব্রেকারে শারাপোভা তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট পেলেও তিন বারই বাঁচিয়ে দেন আরিনা। তার পরই তিনি ডাবল ফল্ট করায় মারিয়ার সামনে আরও একটা সুযোগ চলে আসে। এ বার আর কোনও ভুল করেননি শারাপোভা। জোরালো সার্ভে ফাইনাল জিতে নেন।
আরও পড়ুন: স্ট্রেট সেটে নাদালকে উড়িয়ে দিলেন ফেডেরার
ঠিক যে ভাবে কোর্টে ফেরার পরে তাঁর বিরুদ্ধে একের পরে এক টেনিস সতীর্থ সমালোচনার ঝড় তুললেও তাতে ভেঙে না পড়ে দাঁতে দাঁত চেপে এগিয়ে গিয়েছেন রুশ তারকা। ফরাসি ওপেনে ওয়াইল্ড কার্ড না পাওয়া, চোটে উইম্বলডনে খেলতে না পারার হতাশা কাটিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন।
সপ্তাহ দু’য়েক আগে চিন ওপেনে তাঁকে প্রথম বার চোখের সামনে দেখতে ছুটে আসা মহিলা ভক্ত বলেছিলেন, ‘‘শারাপোভা আমার আদর্শ। কী মনের জোর! কখনও হাল ছাড়ে না।’’ ট্রফি জেতার পরে স্টেডিয়ামে মারিয়ার চোখ কি খুঁজে বেড়াছিল সেই ভক্তকে?
সেটা বলা না গেলেও একটা কথা বলাই যায়, রুশ তারকার আত্মবিশ্বাস আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেল এই জয়ে। আরও একটা তথ্য হয়তো শারাপোভার ভক্তদের উল্লসিত করতে পারে। ডব্লুটিএ-র সোমবার প্রকাশিত হতে চলা র্যাঙ্কিংয়ে শারাপোভা টপকে যাবেন ইউজেনি বুশার্ডকে (৭৮)। সেই বুশার্ড যিনি শারাপোভাকে ডোপিংয়ের শাস্তি কাটিয়ে কোর্টে ফেরার পরে বলেছিলেন, ‘‘প্রতারক’’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy