Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

দুই অধিনায়কের আবেগে মিল খুঁজে পাচ্ছেন ভুবনেশ্বর

দলে তাঁর ভূমিকা কী হবে, সে ব্যাপারে দুই অধিনায়কের থেকেই যে স্পষ্ট বার্তা পেয়েছিলেন, তা জানাতে ভুলছেন না ভুবনেশ্বর। ভারতীয় দলের এই ফাস্ট বোলার বলেছেন, ‘‘দলে কার কী ভূমিকা হবে, সে ব্যাপারে সবারই স্পষ্ট ধারণা থাকে। হ্যাঁ, মাঠে নেমে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই ভূমিকায় বদল ঘটতেই পারে। সে রকম হলে মাঠেই আমরা কৌশল ঠিক করে নিই।’’

দর্শক: অস্ট্রেলীয় ওপেন দেখতে মেলবোর্নে কার্তিক, রোহিতরা। টুইটার

দর্শক: অস্ট্রেলীয় ওপেন দেখতে মেলবোর্নে কার্তিক, রোহিতরা। টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:১৪
Share: Save:

তিনি দুই অধিনায়কের নেতৃত্বেই খেলেছেন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং বিরাট কোহালি। অ্যাডিলেডে ওয়ান ডে জেতার পরে বিসিসিআই টিভি-তে এই দুই অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলার অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন ভুবনেশ্বর কুমার।

অধিনায়ক হিসেবে ধোনি এবং কোহালির মধ্যে পার্থক্যটা কী? ভুবনেশ্বর বলেন, ‘‘ধোনির পরে আমি যখন বিরাটের নেতৃত্বে খেলা শুরু করি, আমার কোনও সমস্যা হয়নি। মনে হয়নি, দারুণ কিছু বদল হয়ে গিয়েছে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘বিরাট আগ্রাসী ক্রিকেটার। যেটা মাঠেই বোঝা যায়। ধোনিকে মাঠে সবাই যেমন দেখে অভ্যস্ত, ওর অধিনায়কত্বের ধাঁচটাও সে রকম। তবে একটা ব্যাপারে দুই অধিনায়কের মধ্যে দারুণ মিল দেখেছি।’’ কী সেটা? ভুবনেশ্বরের ব্যাখ্যা, ‘‘ক্রিকেট নিয়ে দু’জনের আবেগ। দু’জনের ম্যাচ জেতার খিদে। দুই অধিনায়কই এ ব্যাপারে এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে। দু’জনের নেতৃত্বের স্টাইলে হয়তো পার্থক্য আছে, কিন্তু জেতার মানসিকতায় নেই।’’

দলে তাঁর ভূমিকা কী হবে, সে ব্যাপারে দুই অধিনায়কের থেকেই যে স্পষ্ট বার্তা পেয়েছিলেন, তা জানাতে ভুলছেন না ভুবনেশ্বর। ভারতীয় দলের এই ফাস্ট বোলার বলেছেন, ‘‘দলে কার কী ভূমিকা হবে, সে ব্যাপারে সবারই স্পষ্ট ধারণা থাকে। হ্যাঁ, মাঠে নেমে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই ভূমিকায় বদল ঘটতেই পারে। সে রকম হলে মাঠেই আমরা কৌশল ঠিক করে নিই।’’

নতুন বছরের দ্বিতীয় ম্যাচেই উইকেটের মধ্যে ফিরেছেন ভুবনেশ্বর। অ্যাডিলেডের ওয়ান ডে-তে নিয়েছেন চার উইকেট। কিন্তু গত বছর যে ফিটনেস সমস্যায় ভুগেছেন, তা স্বীকার করেছেন ভুবনেশ্বর। ভিডিয়ো-সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘গত বছরটা ফিটনেসের দিক দিয়ে আমার খুব ভাল যায়নি। মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল। তবে এ সবের মধ্যেও একটা শিক্ষা পাওয়া যায়। চোট সারিয়ে কত তাড়াতাড়ি আবার ম্যাচ ফিট হয়ে ওঠা যায়, সেটা একটা শিক্ষণীয় ব্যাপার।’’

অস্ট্রেলিয়ায় দলের পেসারদের বোলিং নিয়ে ভুবনেশ্বর বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বল করাটা একটা অন্য ধরনের চ্যালেঞ্জ। এখানে কুকাবুরা বলে সে রকম সুইং পাওয়া যায় না। সিমটা তাড়াতাড়ি বসে যায়। অস্ট্রেলিয়ার পিচে বাউন্স আছে। আমাদের সামনে সেটাই চ্যালেঞ্জ ছিল। পিচটাকে কাজে লাগানো। এই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। যেটা আমাদের বোলাররা করতে পেরেছে।’’

শুরুতে ভুবনেশ্বর বলতে সবাই বুঝতেন এক জন সুইং বোলার, যার গতি সে রকম ছিল না। ‘‘ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পরে বুঝতে পারি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে গেলে আমার গতি বাড়াতে হবে,’’

বলছেন ভুবনেশ্বর।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy