দুরন্ত: কাতারের বিরুদ্ধে গোল বাঁচানোর চেষ্টা গুরপ্রীতের। ছবি: এআইএফএফ
কাতারের বিরুদ্ধে ৭৩ মিনিট দশ জনে খেলে ভারত ০-১ হারলেও উচ্ছ্বসিত ফুটবলপ্রেমীরা। কাতারের কোচ, বার্সেলোনা যুব দলের প্রাক্তন গুরু ফেলিক্স স্যাঞ্চেসও প্রশংসায় পঞ্চমুখ গ্লেন মার্টিন্সদের খেলার। কিন্তু ভারতীয় দলের অন্দরমহলে রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে।
দোহায় বিশ্বকাপ ও এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে বৃহস্পতিবার ১৭ মিনিটেই রাহুল ভেকে-কে লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ) দেখান চিনের রেফারি নিং মা। শুধু তা-ই নয়। প্রথমার্ধে তিনি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচকেও। এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে ম্যাচে একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগও করছেন কেউ কেউ। তাঁদের মতে, ন’মিনিটে কাতারের অধিনায়ক আল হায়দসকে ফাউল করার জন্য রাহুলকে প্রথম হলুদ কার্ড না দেখালেও পারতেন তিনি। কারণ, ম্যাচ সবে শুরু হয়েছিল। ভারতীয় দলের ডিফেন্ডারকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া যেত। সকলে থাকলে হয়তো কাতারের বিরুদ্ধে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়তে পারতেন সন্দেশ জিঙ্গনরা।
রেফারিং নিয়ে ক্ষোভের মধ্যেই শুক্রবার থেকে বাংলাদেশ ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ইগর। চোটের কারণে কাতারের বিরুদ্ধে রওলিন বর্জেস ও চিংলেনসানা সিংহ ছিলেন না। আগামী সোমবারও রওলিনের খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে চিংলেনসানা সম্ভবত দলে ফিরছেন। শুক্রবার অবশ্য অনুশীলন করেননি সুনীলরা। দোহার টিম হোটেলেই ফুটবলারদের দু’ভাগে ভাগ করে ‘রিকভারি সেশন ’ করান ইগর। সকলকে তিনি বলে দিয়েছেন, কাতার পর্ব অতীত। এখন বাংলাদেশ ম্যাচে মনঃসংযোগ করতে হবে। প্রথম পর্বে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কোনও মতে হার বাঁচিয়েছিল ভারতীয় দল। কোচ থেকে ফুটবলার, সকলের মনে সেই যন্ত্রণা এখনও কাঁটার মতো বিঁধে রয়েছে। তার উপরে বৃহস্পতিবারই শক্তিশালী আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করেছেন জামাল ভুঁইয়ারা।
তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানকে হারাতে পারলেই ২০২৩ সালে এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন করবে ভারতীয় দল। কিন্তু যদি পরের দু’টি ম্যাচের মধ্যে সুনীলরা একটি হারেন ও অন্যটি ড্র করেন, সে ক্ষেত্রে প্লে-অফ খেলতে হবে। যে কোনও মূল্যে তা এড়াতে চাইছেন ইগর। এই কারণেই কাতারের বিরুদ্ধে ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুনীলকে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। যাতে বেশি বিশ্রাম পান অধিনায়ক। ভারতীয় দলের রক্ষণের অন্যতম ভরসা সন্দেশ বললেন, “দশ জনে আমরা দারুণ লড়াই করেছি ঠিকই। কিন্তু কোনও পয়েন্ট অর্জন না করেই মাঠ ছেড়েছি। এটাই বাস্তব। আমাদের পাখির চোখ পরের দুটি ম্যাচে জেতা।”
কাতারের বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের দ্বৈরথেও অসাধারণ খেলেছিলেন গুরপ্রীত। কার্যত তাঁর দু’হাতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল বিপক্ষের জয়ের আশা। বৃহস্পতিবার ম্যাচের পরেই কাতারের আবদেল করিম ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমের সামনে এসে গুরপ্রীতকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছিলেন, “তুমি প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্য।” শুক্রবার ভারতীয় দলের গোলরক্ষক বলেছেন, “কখনও বিপক্ষের ফুটবলার এসে আমাকে বলেনি, সর্বোচ্চ পর্যায়ের লিগে খেলার যোগ্য তুমি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy