বন্ধু: সচিনের ফিল্মের প্রিমিয়ারে হাজির ছিলেন আমির খান-ও। ছবি :পিটিআই।
একশো কোটির স্বপ্ন আর সচিন তেন্ডুলকর। একশো কোটির চোখের জল আর সচিন তেন্ডুলকর। একশো কোটির গর্জন আর সচিন তেন্ডুলকর।
সচিন নামের আবেগ যে কোথায় পৌঁছতে পারে, তা গত তিন দশক ধরে বার বার দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। এ বার দেখা গেল, ‘সচিন: আ বিলিয়ন ড্রিমস’ দেখার পরেও সেই একই রকম আবেগে ভাসলেন ভারতের ‘হু’জ হু’-রা। যে তালিকায় রয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি থেকে অমিতাভ বচ্চন। আমির খান থেকে শাহরুখ খান, মুকেশ অম্বানীরা। বুধবার রাতে এই ফিল্মের প্রিমিয়ার শো দেখে উঠে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন প্রত্যেকেই।
প্রিমিয়ার শো দেখেই ভারতীয় দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড উড়ে গিয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তবে যাওয়ার আগে বলেছেন, ‘‘সম্পূর্ণ অন্য এক অনুভূতি। আমরা এক অন্য সচিনকে দেখলাম। ওর দিকের গল্পগুলো শুনলাম। যা আগে কখনও শুনিনি বা দেখিনি। জানা গেল, সচিনের ঘনিষ্ঠ লোকজন ওর সম্পর্কে কী ভাবছে। অঞ্জলি ভাবি কী ভাবছেন।’’
তবে সচিনের ‘ডকু ড্রামা’ দেখে উঠে একটা আক্ষেপ হচ্ছে ধোনির। ‘‘আমাকে সবথেকে বেশি টেনেছে সচিনের পারিবারিক ভিডিওগুলো। যেগুলো আমরা আগে কখনও দেখিনি। ফিল্মটা দেখার পরে একটা আক্ষেপ হচ্ছে। কারণ আমার নিজের বিশেষ পারিবারিক ভিডিও নেই।’’
আজ, শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে সচিনের ফিল্ম। যা নিয়ে ওয়াঘার ও-পারেও সাড়া পড়ে গিয়েছে। পাকিস্তানে যারা ফিল্ম প্রদর্শনের দায়িত্বে আছে, তারা জানিয়েছে ‘সচিন: আ বিলিয়ন ড্রিমস’ দেখাতে তারা তৈরি। সংগঠনের চেয়ারম্যান জোরাইজ লাশারি বলেছেন, ‘‘বাহুবলী ২ এবং হাফ গার্লফ্রেন্ড ভাল ব্যবসা করছে পাকিস্তানে। সচিনের ফিল্মটাও আমরা পাকিস্তানে দেখাতে চাই। তবে তার আগে আমাদের সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেতে হবে।’’
আরও পড়ুন: সমর্থকদের উদ্দেশে আইসিসির আবেদন, ভয় না পেয়ে মাঠে আসুন
ফিল্ম দেখার পরে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। আপাতত বলিউডের যা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এই ফিল্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকতে পারে না। প্রিমিয়ার শো দেখে বেরিয়ে অমিতাভ বচ্চনের বক্তব্য, ‘‘আমি সচিনকে বলছিলাম, এই ফিল্মটা দেশের প্রত্যেক মানুষকে দেখানো উচিত। সচিনকে নিয়ে আমরা গর্বিত বলে নয়, সচিন দেশকে কতটা গর্বিত করেছে, সেটা বোঝানোর জন্য।’’
আমির খান বলে দিচ্ছেন, তিনি বরবারই সচিন-ভক্ত আর এই ফিল্ম সচিন-ভক্তদের জন্য একটা আদর্শ উপহার। ‘‘আমি একেবারে শুরু থেকেই সচিনের বিশাল ভক্ত। যে কোনও সচিন-ভক্তই ছবিটা দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বে। সচিনের জীবন এবং কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু মুহূর্ত আমরা পরদায় দেখতে পেলাম।’’ বলিউডের আর এক মেগাস্টার, শাহরুখ খানের বক্তব্য, ‘‘এই ফিল্মের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আমার অভিনন্দন। শুধু এই দেশেই নয়, বিদেশেও মানুষ অনুপ্রাণিত হয় সচিন তেন্ডুলকরকে দেখে।’’
আর তাঁর পরিবার কী বলছে? সচিনকন্যা সারা বলেছেন, ‘‘বড় হওয়ার সময় সচিন তেন্ডুলকরের মাহাত্ম্য আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। কারণ আমি শুধু বাবা হিসেবেই দেখেছি। এই ফিল্মটা দেখার পরে বুঝলাম, মানুষ কী চোখে দেখে সচিন তেন্ডুলকরকে।’’ আর আপনার কাছে ফিল্মের সেরা মুহূর্ত কোনটা? সারা-র জবাব, ‘‘যখন আমার বাবা-মায়ের রোম্যান্সটা দেখানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy