বিন্দ্রা ও ভাইচুং। নতুন কমিটির সম্ভাব্য দুই মুখ।
রিও অলিম্পিক্স থেকে মাত্র দু’টি পদক নিয়ে ফেরার পর খেলাধুলোর ক্ষেত্রে কিছু সংস্কার আনছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। যার অন্যতম, বিভিন্ন ফেডারেশনের কাজ এবং খেলোয়াড়দের প্রস্তুতির উপর জোড়া নজরদারির কঠোর বন্দোবস্ত করা। এই কাজে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে দেশের মহাতারকা ক্রীড়াবিদদের। যাঁদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি হচ্ছে। যার চেয়ারম্যান হবেন সম্ভবত অলিম্পিক্সে ব্যক্তিগত সোনার মালিক অভিনব বিন্দ্রা। থাকবেন ভাইচুং ভূটিয়া, পিটি উষা, মহেশ ভূপতি, কর্ণম মালেশ্বরী, লিম্বা রাম, ধনরাজ পিল্লাই, ডিঙ্কো সিংহের মতো প্রাক্তনরা। ক’জন বিদেশি তারকার কথাও ভাবা হয়েছে। ক্রীড়া মন্ত্রক এঁদের মোটা অঙ্কের বেতন দিয়ে নিয়োগ করবে।
ক্রীড়া মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘বিভিন্ন খেলায় নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক আছে। তাঁদের পাশেই নতুন কমিটি নিজেদের মতো করে কাজ করবে। প্রাক্তন তারকা খেলোয়াড়রা শুধু প্রতিটা ফেডারেশনের কাজকর্ম খুঁটিয়ে দেখবে না। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে নিয়েও রিপোর্ট দেবেন মন্ত্রককে।’’ লক্ষ্য প্রতিভাবানদের চিহ্নিত করে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং ট্রেনিংয়ের জন্য বরাদ্দ টাকার সঠিক ব্যবহার সুনিশ্চিত করা। ‘‘যাদের মধ্যে অলিম্পিক্স বা অন্য বড় মঞ্চ থেকে পদক আনার সম্ভাবনা আছে বলে কমিটি মনে করবে, সেই খেলোয়াড়দের কী ভাবে এবং কোথায় বিশেষ ট্রেনিংয়ের বন্দোবস্ত করা উচিত, সেটাও সুপারিশ করবে কমিটি। সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে ট্রেনিংয়ের জন্য কাদের টাকা দেওয়া হবে তা নিয়েও শেষ কথা হবে বিন্দ্রাদেরই। যাতে কোনও ভাবেই টাকা নয়ছয় না হয়,’’ জানালেন ওই কর্তা।
প্রতি খেলায় এমন প্রাক্তনদের এই কাজে বাছা হয়েছে, যাঁরা খেলা ছেড়েছেন খুব বেশি আগে নয় বা খেলার সঙ্গে অন্য কোনও ভূমিকায় নিয়মিত যুক্ত। মন্ত্রক মনে করছে এঁরা এখনকার প্লেয়ারদের ভাল করে চিনবেন এবং কার কী সম্ভাবনা, সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা থাকবে। অনেকের সঙ্গেই ব্যক্তিগত পরিচয় থাকায় প্রত্যেকের প্রয়োজনগুলোও অনেক ভাল বুঝবেন। ক্রীড়া মন্ত্রকের এই চিন্তার মূল উৎস রিও গেমস। যেখান থেকে অন্তত বারোটি পদক আসবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুসারলা বেঙ্কট সিন্ধুর রুপো এবং সাক্ষী মালিকের ব্রোঞ্জে মুখরক্ষা হয়। তাই মন্ত্রক ঠিক করেছে, এখন থেকে সরকারি পযর্বেক্ষকদের পাশাপাশি ভারতীয় তারকাদেরও কাজে লাগানো হবে। মন্ত্রক এতদিন বিশ্বকাপ বা অলিম্পিক্সের মতো আন্তর্জাতিক ইভেন্টের আগে বিভিন্ন খেলার প্রতিভাবানদের বিদেশে প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করে এসেছে। হকি, কুস্তি, অ্যাথলেটিক্স, টেনিস, ব্যাডমিন্টন ও শুটিংয়ের মত খেলায় বিদেশি কোচ বা ট্রেনার আনা হয়েছে। যে সব কাজে খরচ হয়েছে প্রচুর টাকা। কিন্তু বিরাট অঙ্কের টাকা খরচ করেও ফল না পেয়ে মন্ত্রক রীতিমতো উদ্বিগ্ন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে টাকার অপব্যবহারের নজির মিলেছে। কোচ বা ট্রেনার বানিয়ে আত্মীর-বন্ধুদের সরকারি খরচে বিদেশে বেড়িয়ে আনার ঘটনাও মন্ত্রকের কানে এসেছে। তাই সব খরচই এখন থেকে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy