গুরু-শিষ্যা: মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে গোপীচন্দের সঙ্গে।-পিটিআই
রিওয় প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে অলিম্পিক্সে রুপো জিতেছেন।
চিনের সুপার সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
সাইনা নেহওয়ালকে পিছনে ফেলে হয়ে উঠেছেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের নতুন ‘পোস্টার গার্ল।’
স্বভাবতই স্বপ্নের বছরের ঘোর এখনও কাটছে না তাঁর। তিনি— পিভি সিন্ধু।
গোপীচন্দ অ্যাকাডেমির এক অনুষ্ঠানে এসে পিভি সিন্ধু বলছেন, ‘‘অবশ্যই বছরটা দারুণ কাটল। অলিম্পিক্সে পদক জেতা স্বপ্নের থেকে কম কিছু নয়।’’
অলিম্পিক্সে রুপো জেতা যেন তাঁর আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। অলিম্পিক্সের পরের সমস্ত টুর্নামেন্টে যা তাঁর সেরাটা বের করে আনতে সাহায্য করে। বিশেষ করে চিন সুপার সিরিজে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে যে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সিন্ধু। ‘‘বছরের শুরুতে ইচ্ছা ছিল সুপার সিরিজ খেতাব জিতব। চিনে সেই লক্ষ্যটাও পূরণ করতে পেরেছি। অলিম্পিক্স পদক আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল,’’ বলছেন সিন্ধু।
হায়দরাবাদি ব্যাডমিন্টন মহাতারকার এরপরের লক্ষ্য কী? সিন্ধু সাফ জানিয়ে দিলেন তাঁর পাখির চোখ এখন র্যাঙ্কিং টেবলের এক নম্বরে ওঠা। ‘‘অবশ্যই আমার লক্ষ্য এক নম্বর হওয়া। নিজের কেরিয়ারের সেরা র্যাঙ্কিং হিসেবে ছ’নম্বরে উঠেছি। তাই ভাল লাগছে। আশা করছি এই ফর্ম ধরে রাখব। আরও উন্নতি করতে পারব,’’ বলছেন সিন্ধু। রুপোজয়ী অ্যাথলিটের সাফল্যের পিছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম। সিন্ধু যোগ করেন, ‘‘প্র্যাকটিসে এত খেটেছি বলেই ফল পেয়েছি। আর সঙ্গে রিওতে পদক জেতায় আরও উদ্দীপ্ত হই ভাল পারফর্ম করতে।’’
স্ট্র্যাটেজির ক্ষেত্রেও গোপীচন্দের মগজাস্ত্রের উপরই ভরসা রাখছেন সিন্ধু। ‘‘চিন্তাভাবনায় অনেক বদল এসেছে অলিম্পিক্সের পর। প্রসঙ্গ যেখানে স্ট্র্যাটেজির, সেটা ম্যাচের উপর নির্ভর করছে। কোচের কথা অনুযায়ী কাজ করছি,’’ বলছেন সিন্ধু।
অলিম্পিক্সে পদক আসলেও পা মাটিতেই রাখছেন। আত্মতুষ্ট হয়ে পড়ছেন না সিন্ধু। কারণ তাঁর মতে এ বারই কঠিন লড়াইটা শুরু। তাই তো সবশেষে ব্যাডমিন্টনের অগ্নিকন্যা বলছেন, ‘‘রিও পর্ব শেষ। এ বার কঠিন জিনিসটা শুরু। যা হচ্ছে ফর্ম ধরে রাখা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy