শোভা দে
তিন দিন কেটে গিয়েছে। অলিম্পিক্সের ইতিহাসে রিওতে সবচেয়ে বড় দল গেলেও ভারতের পদকের ঝুলি শূন্য। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় অ্যাথলিটদের সমালোচনা, বিতর্ক চলছিল। বিতর্কের সেই আগুনকে একেবারে দাবানল করে তুললেন শোভা দে।
দেশের অ্যাথলিটদের ব্যঙ্গ করে ভারতীয় লেখিকার টুইট, ‘‘অলিম্পিক্সে টিম ইন্ডিয়ার লক্ষ্য: রিও যাও, সেলফি তোলো। খালি হাতে ফিরে এসো। টাকা আর সুযোগের কী অপচয়।’’ তাঁর টুইট বোমা আছড়ে পড়ার পরই বিস্ফোরণ হতে সময় লাগেনি। তার আঁচ এতটাই যে বিতর্ক থেকে দশ হাত দূরে থাকা অভিনব বিন্দ্রাও পাল্টা এক হাত নেন শোভা দে-কে। সোমবারই এক চুলের জন্য ব্রোঞ্জ ফস্কানো বিন্দ্রার টুইট, ‘‘শোভা দে, এটা কিন্তু অবিচার হয়ে গেল। গোটা বিশ্বের বিরুদ্ধে আপনার দেশের অ্যাথলিটরা শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নেমেছে। আপনার তো গর্ব হওয়া উচিত।’’
ভারতীয় ডাবলস খেলোয়াড় জ্বালা গাট্টাও ক্ষোভ উগরে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, ‘‘হয়তো ছবিটা তখন পাল্টাবে যখন আপনার মতো মানুষদের মনোভাব পাল্টাবে!!!???’’। মোক্ষম জবাব দিতে ছাড়েননি প্রাক্তন হকি ক্যাপ্টেন বীরেন রাসকুইনহাও। তাঁর টুইট, ‘‘শোভা দে, দয়া করে হকি পিচে ৬০ মিনিট দৌড়ে আর অভিনব-গগনের মতো রাইফেল ধরে দেখান। যা ভাবছেন তার চেয়ে আপনার জন্য একটু বেশিই কঠিন হয়ে যাবে সেটা।’’ ভারতীয় খেলোয়াড়রাই শুধু নন, দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শোভা দে-র তীব্র সমালোচনাও হয়েছে।
তাঁর টুইটে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে দেখে পরে অবশ্য কিছুটা পিছু হটেন ভারতীয় লেখিকা এবং পেজ থ্রি সেলিব্রিটি। তাই হয়তো নিজের মন্তব্য হাল্কা করার চেষ্টাও করেন পরের টুইটে অফিসিয়ালদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে, ‘‘অফিসিয়ালদের ব্যর্থতাই প্রতিটা অলিম্পিক্সে আমাদের এত খারাপ ফলের প্রধান কারণ। অ্যাথলিটদের এই হার্ডলটার সঙ্গে লড়াই করা কঠিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy