সমস্ত জল্পনার অবসান। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার দু’দিনের মধ্যেই শশাঙ্ক মনোহরকে আইসিসি-র প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হল। ভারতীয় বোর্ডও আইসিসি-র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
চেয়ারম্যান বাছাইয়ের সময়সীমা ছিল ২৩ মে। তার এগারো দিন আগেই মনোহরকে দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হল। এই পদের জন্য অন্য দাবিদারও ছিল না। আইসিসি সর্বসম্মতিক্রমে মনোহরকে চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নিয়েছে। তাই সিদ্ধান্তটা তাড়াতাড়িই নিয়ে নিলেন আইসিসি অডিট কমিটির চেয়ারম্যান আদনান জাইদি। চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি তদারকি করার দায়িত্ব ছিল যাঁর কাঁধে। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আইসিসি-র অতীত বা বর্তমান কোনও ডিরেক্টর এই দায়িত্ব পাওয়ার যোগ্য। এই যোগ্যতা অনেকেরই থাকলেও সর্বোচ্চ এই সাম্মানিক পদের লড়াইয়ে আর কেউ নামেননি।
বৃহস্পতিবার জাইদি এই ঘোষণা করার পর বিসিসিআই সচিব অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘‘এ তো দেশের গর্বের বিষয়। ক্রিকেট প্রশাসনে ওঁর যা অভিজ্ঞতা, তাতে উনি এই পদে অবশ্যই যোগ্য ব্যক্তি। আশা করি আগামী দিনে আইসিসি ও বিসিসিআই-এর সম্পর্ক আরও ভাল হবে।’’ মনোহরের জায়গায় কে ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন, সেই জল্পনা অবশ্য চলছে।
বিশ্ব ক্রিকেট প্রশাসনে প্রথম স্বাধীন সর্বোচ্চ দায়িত্ব পাওয়ার পর মনোহর আইসিসি-র ডিরেক্টরদের ও ভারতীয় বোর্ড কর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘এই দায়িত্ব আমার কাছে বড় সম্মান। ক্রিকেটের উন্নতিই শুধু নয়, নতুন প্রজন্মকে ক্রিকেটে আরও বেশি করে আকৃষ্ট করাটাও আমার একটা বড় উদ্দেশ্য।’’ আইসিসি-র নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে আইসিসি চেয়ারম্যানের ক্রিকেট প্রশাসনে অন্য কোনও পদে থাকা চলবে না। যে নিয়ম আগে ছিল না। আগে নিজের দেশের বোর্ড সামলেও আইসিসি-র সর্বোচ্চ পদে থাকা যেত। এখন থেকে আর তা হবে না। এন শ্রীনিবাসন ও মনোহর নিজেও দ্বৈত ভূমিকা একসঙ্গে পালন করেছেন।
সরকারি ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট তাঁর দু’বছর মেয়াদের নতুন দায়িত্বে চলে এলেন। আগামী মাসে এডিনবার্গে আইসিসি-র বার্ষিক সভায় তিনি তাঁর আসল কাজ শুরু করবেন বলে আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy