নক্ষত্র: গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের আশা এখনও ছাড়ছেন না মারিয়া শারাপোভা। ছবি: এএফপি
বিতর্ক তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে। আগেও ছিল। কিন্তু তিনি বিতর্ক নিয়ে মাথা ঘামান না। টেনিস কোর্টে জবাবটা দিতেই চিরকাল পছন্দ করেন মারিয়া শারাপোভা।
মাত্র তিন দিন হল রোম ওপেনে নামার আগে রাফায়েল নাদালের সঙ্গে অনুশীলনের ভিডিয়ো পোস্ট করে স্পেনীয় মহাতারকাকে ‘সর্বকালের সেরা’ (গোট) বলে বসেন। রজার ফেডেরারের ভক্তরা তাতে বেজায় বিরক্ত হন। কিন্তু শারাপোভার উপর বিতর্কের আঁচ মোটে পড়েনি। রোম ওপেনে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পরে তাঁর কথাতেই সেটা স্পষ্ট।
বিতর্ক দূরে থাক, নাদালের সঙ্গে অনুশীলনের প্রসঙ্গ উঠতে হেসে ফেলেন মাশা। কী করে সাহস জুটিয়ে রাফাকে তাঁর সঙ্গে অনুশীলন করার অনুরোধ করেন তাও জানালেন খোলাখুলি, ‘‘নাদাল পাশের কোর্টেই অনুশীলন করছিল। আমার টিমের এক সঙ্গীকে বললাম, ওকে এখন আমার সঙ্গে কিছুক্ষণ অনুশীলন করার কথা বললে কেমন হয়? বন্ধু ভরসা দিয়ে বলল, অনুরোধ তো করতেই পারি! তবু ভাবছিলাম, ব্যাপারটা কী আদৌ ভাল দেখাবে? বন্ধু ভরসা দিল, ‘তুমি তো ডেট-এ যাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছ না। অনুরোধটা করতেই পারো।’ সে কথা শুনে লজ্জার মাথা খেয়ে নাদালকে বলেই ফেললাম কথাটা।’’ এমনিতে, এতকিছুর পরও নাদাল ব্যাপারটা কী ভাবে নিয়েছেন সেটা নিয়ে এখনও ভাবছেন রুশ তারকা, ‘‘হয়তো ও আমাকে অদ্ভুত এক মানুষ ভাবল। সত্যি আমার এ রকমই মনে হয়।’’ এর কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ডমিনিকা সিবুলকোভাকে ৩-৬, ৬-৪, ৬-২ হারিয়ে রোম ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে ওঠেন শারাপোভা।
ফরাসি ওপেনের প্রস্তুতির জন্য রোম ওপেন কতটা তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ সেটাও বললেন মারিয়া। গত মরসুমে এখানেই ওয়াইল্ড কার্ড পেয়েছিলেন। ডোপ করায় ১৫ মাসের নির্বাসন কাটিয়ে তখন প্রত্যাবর্তনের লড়াই শুরু হয়েছে। মাশার মন্তব্য, ‘‘এই প্রতিযোগিতাটার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে আমার জীবনে।’’ এমনিতে অবশ্য বেশি দূর এগোতে পারেননি গত বার। দ্বিতীয় রাউন্ডেই চোটের জন্য ছিটকে যান। প্রসঙ্গত ফরাসি ওপেন গত বার শারাপোভাকে শেষ পর্যন্ত ওয়াইল্ড কার্ড দেওয়া হয়নি। তাই উইম্বলডনের মূল পর্বে সরাসরি সুযোগ পাওয়ার আশাও শেষ হয়ে যায়। এ বার অবশ্য ফরাসি ওপেনের আগে রোমে নিজের প্রস্তুতিটা এগিয়ে রাখতে চান। শারাপোভার কথা, ‘‘আগে এখানে অনেক ভাল ম্যাচ খেলেছি। তা ছাড়া প্যারিসে নামার আগে এটাই শেষ প্রতিযোগিতা। তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ রোম ওপেন।’’
শারাপোভার সামনে আপাতত সব চেয়ে বড় পরীক্ষা ফরাসি ওপেন। নিজেই জানাচ্ছেন, প্যারিসের ক্লে কোর্টে দারুণ কিছু করাটাই তাঁর স্বপ্ন। সেই সঙ্গে গ্র্যান্ড স্ল্যামে বড় সাফল্যের জন্য চেষ্টা করে যাবেন। বলেছেন, ‘‘এখনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের আবেগ আমাকে নাড়া দেয়। ওই অনুভূতির সঙ্গে অন্য কোনও কিছুর তুলনা চলে না। ভুলে যাবেন না, আমিও পাঁচটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছি। তাই ওই আবেগের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। যদি আবার কখনও বড় আসরে ট্রফি ধরতে পারি তা হলে বুঝব নতুন করে ফিরে আসার লড়াইটা সার্থক হল।’’
মারিয়া যাই বলুন, আদৌ আর কখনও জিতবেন তিনি গ্র্যান্ড স্ল্যাম? টেনিস পণ্ডিতেরা কিন্তু এটা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy