শেষ পর্যন্ত মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হল শঙ্করলালকে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
সোমবার ঘরের মাঠে গোকুলাম কেরল এফসি-এর বিরুদ্ধে ২-১ গোলে হারতে হল মোহনবাগানকে। খেতাবি লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে লিগ টেবিলের তলানিতে থাকা দলটির বিরুদ্ধে জিততেই হত মোহনবাগানকে। কিন্তু মাস্ট উইন গেমেই পা হরকাল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এখনও পর্যন্ত আই লিগে ১৪টি ম্যাচ খেলেছে মোহনবাগান। ১৪ ম্যাচে মোট পয়েন্ট ২১। প্রথম সাতটি ম্যাচে তাঁদের কোচ ছিলেন সঞ্জয় সেন এবং পরের সাতটি ম্যাচে দায়িত্ব সামলেছেন শঙ্করলাল চক্রবর্তী। ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট দিয়েছিলেন সঞ্জয়, সেখানে সমসংখ্যক ম্যাচ থেকে বাগানকে ১১ পয়েন্ট দিল শঙ্করলাল। তবে চেতলার সঞ্জয়কে পিছনে ফেললেও শঙ্করলাল হেড কোচ হওয়ার পর এত জঘন্য ম্যাচ কখনও খেলেনি মোহনবাগান। এতটাই খারাপ ফুটবল হচ্ছিল যে ৭০ মিনিটের পর থেকেই মাঠ ছাড়তে শুরু করেন বাগান সমর্থকরা।
মোহনবাগান যে নিম্ন মানের ফুটবল খেলেছে তা এ দিন মেনে নেন বাগান কোচ স্বয়ং। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে শঙ্করলাল বলেন, “চার বছর ধরে মোহনবাগানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। কিছু দিন হল হেড কোচ হয়েছি। এই রকম খারাপ ম্যাচ কখনও মোহনবাগান খেলেনি। তবে এখনও, ছেলেদের বলব লিগ জেতার জন্য লড়াই চালাও। হার মেন না।”
তবে এর পিছনেও নিজের যুক্তি দেন শঙ্করলাল। তিনি বলেন, “গত তিন বছর একটা সেট দল ছিল। এ’বার সেই দল ভেঙে গিয়েছে। নতুন প্রতিভাদের নিয়ে দল তৈরি করা হয়েছে এ বার। তাই কখনও সাফল্য আসছে কখনও ব্যর্থতা। এই মরসুমে ধারাবাহিকতার অভাবের অন্যতম কারণ এটা। এখনও আমি এক একটা ম্যাচ ধরেই এগোতে চাই।”
আরও পড়ুন: লাস্ট বয়ের কাছেও হেরে গেল মোহনবাগান!
কিন্তু কোচের এই যুক্তি মানতে পারছেন না সমর্থকরা। প্রিয় দলের হার, তাও আবার গকুলামের কাছে! কিন্তু নিজের তৈরি যুক্তিতেই এই হারকে ভুলতে চাইছেন শঙ্করলাল। ব্রাজিল-হন্ডুরাস ম্যাচের প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানান হন্ডুরাসের কাছেও হারতে হয়েছিল ব্রাজিলকে।
প্রসঙ্গত, ২০০১ কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে হান্ডুরাসের কাছে ২-০ গোলে হারতে হয়েছিল স্কোলারির ব্রাজিলকে। কিন্তু, ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসের সেই কলঙ্কিত হারকে অবলম্বন করে কেন বাঁচতে চাইছেন শঙ্কর! ডার্বি জেতার পরও কেন পারলেন না দলের ছন্দটাকে ধরে রাখতে! উত্তর শঙ্করই জানেন। কিন্তু যদি এই ভাবেই শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব একের পর এক ম্যাচ খেলতে থাকে, তা হলে অদূর ভবিষ্যতে ক্লাবের অন্দরে এবং বাইরে প্রশ্ন উঠে যাবে শঙ্করের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy