হতাশ: মেলবোর্নে পরাজিত সেরিনা। বুধবার। ছবি: এএফপি।
ধরেই নিয়েছিলাম সেরিনা উইলিয়ামস ম্যাচটা জিতছেন।
তৃতীয় সেটে তখন ৫-১ এগিয়ে সেরিনা। হাতে চার-চারটে ম্যাচ পয়েন্ট। ভাবলাম যাক, মা হওয়ার পরে অস্ট্রেলীয় ওপেনে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েই মার্গারেট কোর্টের ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যামের রেকর্ড ছোঁয়ার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু একটু পরে পাশের ঘর থেকে ঘুরে এসে দেখি ম্যাচটা তখনও চলছে। তখনও ভাবিনি ওই জায়গা থেকে ম্যাচটা হেরে যাবেন সেরিনা!
৪-৬, ৬-৪, ৫-৭। স্কোরলাইনটা অবিশ্বাস্য লাগছিল শেষে। মানছি প্রথম সেটে খুব ভাল খেলেছেন সেরিনার প্রতিপক্ষ ক্যারোলিনা প্লিসকোভা। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে সেরিনা ৩-৩ থেকে অনবদ্য ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। টানা তৃতীয় সেটে ৫-১ পর্যন্ত অপ্রতিরোধ্য লাগছিল। তখনই গোড়ালিতে চোটটা পান এবং পিছিয়ে যেতে থাকেন ম্যাচে।
An epic comeback at the #AusOpen! @KaPliskova, down 1-5 in the third set, defeats Serena Williams 6-4, 4-6, 7-5 to advance to the SF!
— US Open Tennis (@usopen) January 23, 2019
🎥: #USOpen pic.twitter.com/QwaGU4UXgg
তবে হারলেও সেরিনা কিন্তু দেখিয়ে দিয়েছেন কতবড় চ্যাম্পিয়ন তিনি। ম্যাচের পরে চোট নিয়ে কিন্তু একটাও কথা বলেননি। বরং উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন প্লিসকোভার। যাতে তাঁর প্রতিপক্ষের কৃতিত্ব এতটুকু না কমে। তখন মনে পড়ে যাচ্ছিল ২০১৭ অস্ট্রেলীয় ওপেনের ফাইনালের কথা। ফাইনালে নাদালকে পাঁচ সেটে হারানোর পরে ফেডেরার বলেছিলেন, ট্রফিটা রাফার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারলে আরও খুশি হতেন। এখানেই তো সেরিনা, রজারের মতো চ্যাম্পিয়নরা অন্যদের চেয়ে আলাদা।
#BREAKING Serena Williams dumped as Pliskova reaches Australian Open semis pic.twitter.com/KZAUmTZBB6
— AFP News Agency (@AFP) January 23, 2019
তবে, শুধু চোট নয়, আমি বলব সেরিনার হারের কারণ ফিটনেসও। মা হওয়ার পরে ওঁর শরীরের ওজন ঠিক জায়গায় আসেনি। কোর্টে একটু ধীর গতিতে নড়াচড়া করছেন। তাই প্লিসকোভার বিরুদ্ধে জিতলেও সেমিফাইনালে জাপানের নেয়োমি ওসাকার বিরুদ্ধে খেলতে সমসযায় পড়তেন। যিনি এ দিন এলিনা সোয়াইতোলিনাকে ৬-৪, ৬-১ হারালেন। সেরিনা ওসাকার কাছেই যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে হেরেছেনও। কোর্টে নড়াচড়া, ফিটনেসের দিক থেকে মেলবোর্ন পার্কেও সেরিনার চেয়ে এগিয়ে ওসাকা। তবে এটাও বলব ৩৭ বছর বয়সেও সেরিনা যে রকম দক্ষতা দেখাচ্ছেন, তার সঙ্গে ফিটনেস ধরে রাখতে পারলে যে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। এর আগের ম্যাচেই বিশ্বের এক নম্বর সিমোনা হালেপকে হারিয়ে সেটা দেখিয়েও দিয়েছেন। ফিটনেসের ব্যাপারটাও ২-৩ মাস পরে ফরাসি ওপেনের সময় ঠিক হয়ে যাবে বলেই মনে হয়। তাই বলছি, কোর্টের রেকর্ড সেরিনার অদূরে নয়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy