চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আজ মে দিবসে ফের মুখোমুখি হচ্ছেন দুই ভারত অধিনায়ক। মরসুমের ১৪তম ম্যাচে বিরাট কোহালিকে হারিয়েই যাত্রা শুরু হয়েছিল রোহিত শর্মাদের। এখন দু’দলেরই অবস্থা এক রকম। সাতটি ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। দুই অধিনায়কই দু’টি করে ম্যাচ জিতে লিগ তালিকার শেষের দিকে পড়ে আছেন। প্লে-অফের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রত্যেক ম্যাচই অগ্নিপরীক্ষা এখন দু’জনের কাছে।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম পর্বের সাক্ষাতে বিরাটদের ৪৬ রানে হারিয়েছিলেন রোহিতরা। তার পর পথ হারিয়ে ফেললেও শেষ ম্যাচে ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে মনোবল ফিরে পেয়েছে মুম্বই। রোহিতের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে নেমে ৫৬ অপরাজিত করার পরে বিরাটদের বিরুদ্ধেও সেখানেই ব্যাট করতে নামবেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সেটাই বলে গেলেন সূর্যকুমার যাদব। কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলে যাওয়া সূর্যকুমার এ বার মুম্বইয়ে খেলছেন এবং তাঁকে দিয়েই ওপেন করিয়ে মি়ডল অর্ডারে নেমে এসেছেন তাঁর অধিনায়ক। সূর্যকুমার বলছেন, ‘‘যে কোনও জায়গায় ব্যাট করার ক্ষমতা রয়েছে রোহিতের। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তেই এত দিন চার নম্বরে ব্যাট করেছে অধিনায়ক। গত ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট করে আমাদের জিতিয়েছে। তাই পরের ম্যাচগুলোতেও উপরের দিকেই ব্যাট করতে দেখা যাবে রোহিতকে।’’
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আরসিবি-র বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের ম্যাচে ৫২ বলে ৯৪ রান করেছিলেন রোহিত। একই সঙ্গে গত ম্যাচে চেন্নাইকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরেছে মুম্বই শিবিরে। সূর্যকুমার বলছেন, ‘‘আরসিবি-র থেকে নেট রানরেটে আমরা এগিয়ে রয়েছি ঠিকই। কিন্তু জিততে না পারলে এ সবের কোনও মূল্য থাকবে না। গত ম্যাচে চেন্নাইকে হারিয়ে যে ছন্দ আমরা ফিরে পেয়েছি, সেটাই ধরে রাখতে হবে।’’
অন্য দিকে বিরাটকে ভাবাচ্ছে তাঁর দলের ফিল্ডিং। যে কারণে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ছ’উইকেটে হারতে হয়েছে আরসিবি-কে। ফিল্ডিংয়ে উন্নতি না করলে যে প্লে-অফের দৌড় থেকে তাঁরা দ্রুত হারিয়ে যাবেন তা হারের পরে মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। কোহালি বলেছেন, ‘‘খারাপ ফিল্ডিংয়ের জন্যই কলকাতার বিরুদ্ধে আমাদের হারতে হয়েছে। পরের ম্যাচগুলোতে এ ধরনের ফিল্ডিং করলে যে জেতা সম্ভব নয়, তা আমাদের ছেলেরা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছে।’’ প্লে-অফে যেতে গেলে অসাধ্য সাধন করতে হবে আরসিবি-কে। কোহালি বলছেন, ‘‘এখন যা পরিস্থিতি, সাতটি ম্যাচের মধ্যে ছ’টিই আমাদের জিততে হবে। সব ম্যাচই জেতার মানসিকতা নিয়ে নামতে হবে। আশা করছি সেটা মাথায় রেখেই সকলে মাঠে নামবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy