হ্যাপি হান্টিং গ্রাউন্ড খেলার দুনিয়ায় খুব চালু একটা কথা। ভারতীয় দলের কাছে বার্মিংহ্যাম ঠিক সেটাই। বার্মিংহ্যামের এই মাঠেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত।
ইংল্যান্ডে এটা মরসুমের শেষ। বার্মিংহ্যামের পিচে টার্নিং থাকবেই। তাই যদি হয় তা হলে সেটা কুক অ্যান্ড কোম্পানির কাছে সুখকর হবে না। একমাত্র সবুজ পিচই সিরিজে ফেরাতে পারে ইংল্যান্ডকে। না হলে সিরিজটা কিন্তু আজ, মঙ্গলবারই পকেটে পুরে ফেলবে ধোনিরা।
এক দিনের সিরিজে রঙিন পোশাকের সঙ্গে ভারতীয়দের ফর্মও বেশ ঝলমলে লাগছে। বিশেষ করে স্পিনারদের। তার মানে এটা নয় যে শেষ ম্যাচে ভারতীয় স্পিনারদের বল এক হাত করে ঘুরেছে। কিন্তু সামান্য টার্নেই যে ভাবে ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ল তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কেমন যেন বডি ল্যাঙ্গোয়েজটাই বদলে গিয়েছে ইংরেজদের। অ্যান্ডারসনকেই দেখুন। টেস্ট সিরিজে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর ওয়ান ডে সিরিজে ওর মধ্যে আত্মবিশ্বাস হারানোর লক্ষণ স্পষ্ট। যার সুবাদে ইংরেজদের বোলিং পারফরম্যান্সও নজরে পড়ছে না সে ভাবে।
যার ফলে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে প্রথম ম্যাচে রোহিত শর্মা এবং দ্বিতীয় ম্যাচে অজিঙ্ক রাহানের ব্যাট স্বমহিমায় ফিরেছে। সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা রায়ডুর পারফরম্যান্সও বেশ লাগল। ব্যাটিংয়ের সময় ক্রিজে বেশ সচ্ছন্দ লাগল ওকে। শট খেলতে গিয়ে বল বাছাইয়েও কোনও ভুলভ্রান্তি দেখলাম না। বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগে ব্যাটসম্যান রায়ডুর উত্থান কিন্তু ধোনির হাতে বিকল্প বাড়িয়ে রাখল। ধোনি যখন রায়ডুর হাতে বল তুলে দিল, ও কিন্তু অধিনায়ককে হতাশ করেনি। রায়ডুর পার্ট টাইম স্পিনেও দাঁত ফোটাতে পারেনি ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা। কুককেও ফিরিয়ে দিল ও। এই সময় ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রোটেট করা থেকেও আটকাতে পেরেছিল ভারতীয় স্পিনাররা। ভাবা যায়, একটা সময় ২৪ ওভারে ইংল্যান্ড বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়েছে মাত্র এক বার! আশা করা যায় ভারতীয় বোলিংয়ের এই সুদিন আরও কয়েক দিন জারি থাকবে।
টেস্ট সিরিজের ব্যর্থতার পর বিরাট কোহলিকেও দেখতে পাচ্ছি ফর্মে। সিরিজের বাকি দু’ম্যাচে বিরাটের ব্যাট থেকে যদি ফের বড় রান বেরিয়ে আসে তা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy