Advertisement
১৩ অক্টোবর ২০২৪
India Vs Bangladesh

২৯৭ রান তুলেও বোলারদের ১৭০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিলেন সূর্যকুমার! চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফল বিষ্ণোইয়েরা

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের ২২ গজে বড় রান তুলেও বোলারদের স্বস্তিতে থাকতে দেননি সূর্যকুমার। ধারাবাহিকতা এবং অভ্যাস বজায় রাখতে লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছিলেন তিনি।

picture of SuryaKumar Yadav

সূর্যকুমার যাদব। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:০১
Share: Save:

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২৯৭ রান করেছিল ভারতীয় দল। তবু, ভারতের ইনিংস শেষ হওয়ার পর দলের বোলারদের ১৭০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিলেন অধিনায়ক সূর্য়কুমার যাদব। বিরতিতে পরিষ্কার বলে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষকে ১৭০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে হবে।

স্কোর বোর্ডের দিকে তাকিয়ে দলের বোলারেরা যাতে আত্মতুষ্ট হয়ে না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে শনিবার তাঁদের লক্ষ্য স্থির করে দেন সূর্যকুমার। যথেষ্ট রান হাতে থাকলেও রবি বিষ্ণোই, মায়াঙ্ক যাদব, বরুণ চক্রবর্তীদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। হায়দরাবাদের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশকে ১৬৪ রানে আটকে দিয়ে অধিনায়কের দেওয়া চ্যালেঞ্জের সফল মোকাবিলা করেছেন ভারতীয় বোলারেরা।

ম্যাচের পর বিষ্ণোই বলেছেন সূর্যকুমারের দেওয়া চ্যালেঞ্জের কথা। তরুণ লেগ স্পিনার বলেছেন, ‘‘আমরা বল করতে নামার আগেই সূর্যকুমার বলেছিল, মাথায় প্রায় ৩০০ রানের কথা না রাখতে। বলেছিল, ‘১৬০-১৭০ রান হাতে আছে মনে করে বল করতে হবে। কম রানের মধ্যে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।’ কখনও এমন পরিস্থিতি হলে যাতে আমরা সমস্যায় না পড়ি, সে জন্যই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বলতে পারেন, আমরা প্রস্তুতি হিসাবে দেখতে চেয়েছিলাম। পিচ ব্যাটিং সহায়ক ছিল। তবু আমরা চেষ্টা করতে চেয়েছিলাম।’’

দলের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে বিষ্ণোই বলেছেন, ‘‘দলের প্রায় সবাই নতুন প্রজন্মের। পার্থক্যটা সকলে দেখতে পাচ্ছেন। জেতার জন্য ওদের ২৯৮ রান করতে হত। তবু আমরা বল হাতে আগ্রাসী থাকতে চেয়েছিলাম। ১৬০ রানের মধ্যে অল আউট করাই ছিল লক্ষ্য। শীর্ষে থাকাই সব নয়। জায়গাটা ধরে রাখাই আসল আমাদের কাছে।’’

বিষ্ণোই জানিয়েছেন ভারতের নতুন এই দল অতীত নিয়ে মাথা ঘামায় না। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ভারতীয় দলটা তরুণ। আমাদের বলে দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি দিন নতুন দিন। আগের ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে মানে, ওটা শেষই। সেটা আঁকড়ে থাকলে হবে না। নতুন ম্যাচ, আবার নতুন করে চেষ্টা করতে হবে।’’ অর্থাৎ, যা হয়ে গিয়েছে, তা হয়ে গিয়েছে। যাই হোক, সেটা নিয়ে আর ভাবার দরকার নেই। প্রতিটি ম্যাচ নতুন এবং আলাদা। সে ভাবেই ক্রিকেটারদের ভাবাতে চাইছেন কোচ গৌতম গম্ভীর।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE