পুসারলা বেঙ্কট সিন্ধু। ছবি: পিটিআই।
চোটের কারণে অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে পারবেন না ক্যারোলিনা মারিন। কিন্তু অলিম্পিক্স এবং তিন বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের অনুপস্থিতিতেও ইংল্যান্ডের মাটিতে ট্রফি জেতাটা যে খুব সহজ হবে না, তা মনে করিয়ে দিচ্ছেন পুসারলা বেঙ্কট সিন্ধু। তবে কাজটা কঠিন হলেও ব্যাডমিন্টনের অন্যতম কাঙ্খিত ট্রফি জিততে মরিয়া ভারতীয় তারকা।
মুম্বইয়ে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এসে সিন্ধু বলে যান, ‘‘আমাদের সামনে এখন জাতীয় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা আছে। তার পরে অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপ। যা অন্যতম সেরা প্রতিযোগিতা। যেখানে নিজের সেরাটা দিতে চাই।’’ আগামী ৬ মার্চ থেকে শুরু হবে অল ইংল্যান্ড। সিন্ধু আরও বলেন, ‘‘আমি জানি, ওখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা সোজা কাজ নয়। নিজের একশো ভাগ দিতে হবে। তার জন্য অবশ্য আমি প্রস্তুত।’’
প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন তারকা এবং কোচ বিমল কুমার মন্তব্য করেছিলেন, চোটের জন্য মারিন খেলতে না পারার ফলে সিন্ধু এবং সাইনা নেহওয়ালের সামনে ট্রফি জেতার ভাল সুযোগ থাকবে। সিন্ধু একমত হতে পারছেন না। ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকার মন্তব্য, ‘‘মারিন না থাকায় কাজটা সোজা হবে, এমন ভাবা ঠিক নয়। বিশ্বের প্রথম ১০ থেকে ১৫ জন খেলোয়াড় প্রায় সমমানের। এদের মধ্যে থেকে এক জন সরে গেল বলে কাজটা খুব সোজা হয়ে যাবে, এমন ভাবাটা একেবারেই ঠিক নয়।’’
কেন কাজটা সোজা হবে না, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন সিন্ধু। বলেছেন, ‘‘প্রতিটি ম্যাচেই কঠিন লড়াই হবে। কারণ প্রত্যেক খেলোয়াড়ের খেলার ধরনটা আলাদা। চিনের খেলোয়াড়রাও এখন খুব ভাল খেলছে। চেন ইউফেই, হি বিনজিয়াওরা ছন্দে আছে। তা ছাড়া কোরিয়ার সুং জি হিউন বা তাইল্যান্ডের রাতচানক ইন্তাননও আছে। তাই দেখা যাচ্ছে, প্রায় সব দেশেরই এক জন, দু’জন খেলোয়াড় আছে যারা খুব ভাল খেলছে।’’
ইন্দোনেশিয়া ওপেন ফাইনালে সাইনার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে পায়ে চোট পেয়েছিলেন মারিন। যে কারণে ফাইনাল থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাঁকে। অস্ত্রোপচার হওয়ার কারণে ছয় মাস এখন কোর্টের বাইরে কাটাতে হবে তাঁকে। প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিয়ে সিন্ধু বলছেন, ‘‘মারিনের হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হল। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু চোট-আঘাত জীবনেরই অঙ্গ। আমি নিশ্চিত, মারিন আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবে।’’
গত বছরের শেষটা ভাল হয়েছিল সিন্ধুর। ওয়ার্ল্ড টুর ফাইনালস জেতেন তিনি। যা নিয়ে সিন্ধুর মন্তব্য, ‘‘২০১৮ সালের শেষটা ভালই হয়েছিল। কিন্তু ওই বছরটা এখন অতীত। নতুন বছরে নতুন শপথ নিয়ে নামতে হবে।’’ কী সেই শপথ? সিন্ধু বলেছেন, ‘‘নিজের খেলাকে আরও উন্নত করতে চাই। সেরাটা দিতে চাই। আত্মবিশ্বাসী থাকতে চাই, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়তে চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy