টানা দ্বিতীয় বার ম্যাকাও ওপেনের বিজয়মঞ্চে সিন্ধু। ছবি: পিটিআই
ম্যাকাও ওপেন গ্রাঁ প্রি গোল্ড খেতাব নিজের দখলেই রেখে দিলেন পুসারলা বেঙ্কট সিন্ধু। ১ লক্ষ ২০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কারমূল্যের টুর্নামেন্টের গতবারের চ্যাম্পিয়ন এ দিন ফাইনালে ২১-১২, ২১-১৭ উড়িয়ে দেন কোরিয়ার কিম হিও মিনের চ্যালেঞ্জ।
সিন্ধু অবশ্য মরসুমে নিজের প্রথম ট্রফি হাতে নিয়ে প্রতিপক্ষকে প্রশংসায় ভরিয়ে বললেন, “স্কোরলাইন দেখে ভুল করবেন না। ম্যাচটা মোটেই একতরফা ছিল না। বরং কিম আমাকে যথেষ্ট চাপে ফেলে। বেশ কয়েক জন ভাল প্লেয়ারকে হারিয়ে ও ফাইনালে উঠেছিল। তাই জানতাম, জিততে হলে নিজের সেরাটা দিতেই হবে।”
সপ্তম বাছাই, চিনের য়ু সুনকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা কিম শুরুটা দারুণ আক্রমণাত্মক করেছিলেন। কিন্তু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দু’বারের ব্রোঞ্জজয়ী সিন্ধু ০-৩ পিছিয়ে পড়ে দ্রুত রণকৌশল পাল্টান। নেটে উঠে শটের গতির হেরফেরে ধন্ধে ফেলেন প্রতিপক্ষকে। কিমের ব্যাকহ্যান্ড রিটার্নের জবাব দেন দুরন্ত স্ম্যাশে উইনার তুলে নিয়ে। বিশ্বের ১১ নম্বর সিন্ধুর সঙ্গে ৪৫ মিনিটের লড়াইয়ে হার মানেন বিশ্বের ৯১ নম্বর কিম।
চওড়া হাসিতে উদ্ভাসিত চ্যাম্পিয়ন ম্যাচের শেষে মেনে নেন, বছরের প্রথম ট্রফিটা জিতে স্বস্তি পেয়েছেন। সিন্ধুর কথায়, “খেতাব ধরে রাখতে পেরে দারুণ লাগছে! আজ একদম পরিকল্পনা মাফিক খেলতে পেরেছি। নিজের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।” সঙ্গে যোগ করেছেন, “বছরটা ভাল যাচ্ছে। প্রথম সারির প্লেয়ারদের হারিয়েছি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান গেমসে পদক জিতেছি। অবশ্য পরের বছর আরও খেটে তৈরি হয়ে আরও ভাল করতে চাই।”
বছরটা ভাল কাটলেও সিন্ধু বলছেন, কমনওয়েলথ আর এশিয়ান গেমসে আরও ভাল করা উচিত ছিল। “কয়েকটা হার মনের মধ্যে খচখচ করেই চলেছে। গ্লাসগোয় সোনা জেতা উচিত ছিল কিন্তু পারিনি। এশিয়াডেও ফাইনালে ওঠা উচিত ছিল। তবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ঘুুরে দাঁড়াতে পেরে আমি খুশি।”
জাতীয় কোচ পুল্লেলা গোপীচন্দ অবশ্য মনে করছেন, বড় মঞ্চে সোনা জিততে না পারলেও সিন্ধু এ বছর দেখিয়ে দিয়েছেন যে শিজিয়ান ওয়াং, য়িহান ওয়াংয়ের মতো বিশ্বসেরাদের যে কোনও দিন হারানোর ক্ষমতা রাখেন। গোপীচন্দের কথায়, “গোটা বছরই খুব ধারাবাহিক খেলেছে সিন্ধু। সবচেয়ে বড় কথা, বিশ্বসেরাদের যে কোনও দিন হারানোর ক্ষমতা রাখে ও।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy