জয়ের নায়ক তুনচাই।
ম্যাচের দু’দিন আগেই এফসি পুণে সিটির অন্যতম মালিক হৃতিক রোশন টুইট করেছিলেন, ‘‘আমরা তৈরি। এই যুদ্ধে পুণেই জিতবে।’’ তাঁকে নিরাশ করেননি ইজরায়েল গুরুং, লেনি রডরিগেসরা। প্রথম ম্যাচেই মুম্বই সিটি এফসিকে ৩-১ গোলে কার্যত উড়িয়ে দিল হৃতিকের পুণে।
পুণে বনাম মুম্বইয়ের ম্যাচটিকে আইএসএলের মহারাষ্ট্র ডার্বি বলা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের দুই টিমের ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনাও কম ছিল না। আইএসএল শুরুর আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল আনেলকার মুম্বইয়ের আক্রমণ খুব শক্তিশালী। সে জন্যই বোধহয় পুণের কোচ ডেভিড প্লাট রক্ষণে জোর দিয়ে ৫-৩-২ স্ট্র্যাটেজিতে টিম সাজিয়েছিলেন। তবে ম্যাচ যত গড়াতে লাগল, মুম্বইকে ততই ছন্নছাড়া লাগল। উল্টো দিকে পুণে অনেক বুদ্ধি দিয়ে খেলল।
সুনীল ছেত্রী জাতীয় টিমে যোগ দিতে চলে গিয়েছেন। সনি নর্ডি এবং ফ্রেডরিক পিকিয়োনকে তাই সামনে রেখে আক্রমণের ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন আনেলকা। কিন্তু স্ট্রাইকারের একটু পিছন থেকে খেলতে সনি যতটা স্বচ্ছন্দ, পজিটিভ স্ট্রাইকার হিসেবে ততটা সুবিধে করতে পারলেন না। বরং পুণের ডিফেন্ডারদের জালে জড়িয়ে হাসফাঁস করতে লাগল মুম্বইয়ের আক্রমণ।
পুণের কাছে হোম ম্যাচের সুবিধে তো ছিলই। পাশাপাশি মুম্বই রক্ষণের বোঝাপড়ার চূড়ান্ত অভাবও তাদের সাহায্য করে। রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তুনচাই সানলি ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে দেন পুণেকে। বিরতির আগে ফ্রেডরিক সমতা ফেরান।
আইএসএল শুরু পুণের। মেরি কমের সঙ্গে অন্যতম টিম মালিক হৃতিক রোশন।
দ্বিতীয়ার্ধে সানলির দ্বিতীয় এবং ইজরায়েল গুরুংয়ের অসাধারণ গোলের পর আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে মুম্বই। এ দিন আর গোলের মুখ খুলতেই পারলেন না সনিরা। ম্যাচের পর ম্যাঞ্চেস্টার সিটির প্রাক্তন সহকারী কোচ ডেভিড প্লাট বলেন, ‘‘মুম্বইয়ের মতো শক্তিশালী টিমের বিরুদ্ধে এই তিন পয়েন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ছেলেরা অসাধারণ খেলেছে।’’
ছবি আইএসএল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy