সইদ আজমল, সুনীল নারিনের পর এ বার ভারতের প্রজ্ঞান ওঝার বোলিং অ্যাকশন নিয়েও সংশয়। যদিও তিনি নিজেকে শোধরানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে খবর। তবে সারা বিশ্বের স্পিনারদের এই দশা দেখে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।
গত মরসুমে কোনও ম্যাচে আম্পায়াররা তাঁর বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার পরই বোর্ডের বোলিং অ্যাকশন কমিটি ওঝাকে অ্যাকশন শোধরানোর পরামর্শ দেয়। তার পরই ওঝা সেই কাজে লেগে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর জন্য অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা আটকাচ্ছে না তাঁর। চলতি দলীপ ট্রফিতেও খেলছেন তিনি। বুধবার থেকে দলীপ ট্রফির সেমিফাইনালে পূর্বাঞ্চলের বিরুদ্ধেও মাঠে নামার কথা তাঁর। এই ম্যাচেই দেখা হবে, তিনি তাঁর অ্যাকশন শোধরাতে পেরেছেন কি না। কিন্তু তা না পারলে তাঁর ভারতীয় দলে ফেরা কঠিন হয়ে যাবে বলেই নাকি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে, জানাচ্ছে বোর্ডসূত্র। ভারতের হয়ে ওঝা শেষ টেস্ট খেলেছেন গত বছর নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে, মুম্বইয়ে। শেষ ওয়ান ডে আরও আগে ২০১২-র জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অবশ্য এ বছর আইপিএল ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও খেলেছেন তিনি।
বোর্ডের বোলিং অ্যাকশন কমিটিতে রয়েছেন প্রাক্তন কিংবদন্তি স্পিনার ও এলিট আম্পায়ার এস বেঙ্কটরাঘবন, প্রাক্তন পেসার ও আইসিসি ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথ এবং প্রাক্তন টেস্ট আম্পায়ার এ ভি জয়প্রকাশ। শেষের জনই সোমবার এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলকে জানান, ওঝা তাঁদের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা অস্বীকার করেননি। ওঝা সন্দেহের তালিকায় আছেন কি না, তা জিজ্ঞাসা করায় জয়প্রকাশ শুধু বলেন, “হয়তো আছে। কিন্তু এই নিয়ে আর কিছু বলতে পারব না।”
দু’বছর আগে বিষেন সিংহ বেদী প্রথম ওঝার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, “প্রজ্ঞান ওঝার বোলিং আমার খুব একটা পছন্দ নয়। কারণ, ওর অ্যাকশন খুব একটা পরিচ্ছন্ন নয়। মনে হচ্ছে ও ছুড়ছে।” এ দিন ওঝার অ্যাকশন নিয়ে বোর্ডের কমিটির সন্দেহ প্রকাশ করার খবরে তিনি শুধু বলেন, “এত দিন পর বোর্ডের ঘুম ভাঙল তা হলে?”
বোর্ডের বোলিং অ্যাকশন কমিটির তিন সদস্য সন্দেহজনক বোলারদের অ্যাকশনের ভিডিও দেখে তাঁদের সতর্ক করেন এবং বোর্ডের উদ্যোগেই তাদের অ্যাকশন শোধরানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এ জন্য শীঘ্রই চেন্নাইয়ে বায়োমেকানিকাল রিহ্যাব সেন্টার খোলা হবে বলে জানালেন জয়প্রকাশ। বলেন, “চেন্নাইয়ে রিহ্যাব সেন্টার চালু হয়ে গেলে বোলারদের সাসপেক্ট অ্যাকশন শোধরানোর কাজ আরও সহজ হয়ে যাবে। কেউ ছুড়ে বল করলে তাকে সোজা ওখানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।” এমনিতেই এই কমিটি হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে দেশে চাকার কমেছে বলে দাবি তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy