খেলা শুরুর আগে কোর্টের ধারে ঘুম নিক কিরিয়সের। ২০১৫ সালের ইউএস ওপেনে। ছবি: এক্স (টুইটার)।
খেলার শুরুর আগে কোর্টের ধারে রাখা চেয়ারে কয়েক মিনিট ঘুমিয়ে নেন অনেক খেলোয়াড়। টেনিসে এমন দৃশ্য মাঝে মধ্যে দেখা যায়। এমন ঘুম অনেককে বিস্মিত করলেও টেনিস খেলোয়াড়দের কাছে বিষয়টি অত্যন্ত স্বাভাবিক। তরতাজা থাকতেই এই পদ্ধতি মেনে চলেন অনেকেই।
খেলতে নামার আগে টেনিস খেলোয়াড়েরা অনেক সময় খানিকটা ঘুমিয়ে নেন। বিশেষ করে রাতের দিকে খেলা থাকলে অনেকে নিয়ম করে ঘুমিয়ে নেন কিছু ক্ষণ। ম্যাচের সময় তরতাজা থাকার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাঁরা। প্রতিযোগিতার সময় বিশ্রামের সুযোগ তুলনায় কম পান তাঁরা। ক্লান্তি কাটাতে হোটেলের ঘরে, স্টেডিয়ামের লকার রুমে বা প্লেয়ার কোয়াইট রুমে ঘুমিয়ে নেন তাঁরা। শোয়ার আলাদা ব্যবস্থা না থাকলে চেয়ারে বসেও তাঁরা ঘুমিয়ে নেন অনেক সময়। দুই সন্তানের মা জার্মানির ৩৭ বছরের খেলোয়াড় তাজানা মারিয়া বলেছেন, ‘‘বিকালের দিকে একটু ক্লান্ত লাগছিল। অনেকেরই হয় এ রকম। তাই তরতাজা থাকতে অল্প সময় ঘুমিয়েনি। দুপুরে বিশ্রামের সময় থাকলেও ঘুমোই না। দু’-তিন ঘণ্টা ঘুমানোর থেকে অল্প কিছু ক্ষণের ঘুম শরীরকে অনেক বেশি তরতাজা করে তোলে।’’ প্যারিস অলিম্পিক্সে মিক্সড ডাবলসে রুপোজয়ী চিনের ঝ্যাং ঝিঝ্যাং বলেছেন, ‘‘ক্লান্ত লাগলে ঘুমিয়েনি একটু। সকাল ১১টায় খেলা থাকলে ঘুমিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে না। তবে পরের দিকে খেলা থাকলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ঘুমিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি।’’
সব দেশের টেনিস খেলোয়াড়েরাই এই পদ্ধতি মেনে চলেন। প্রবীণ খেলোয়াড়েরা এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন তেমন নয়। তরুণেরাও সময় এবং সুযোগ পেলে ১৫-২০ মিনিট ঘুমিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। অনেকে হোটেল থেকে স্টেডিয়ামে আসার সময় গাড়িতেও মিনিট ১৫ ঘুমিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ২০২০ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন আমেরিকা সোফিয়া কেনিন বলেছেন, ‘‘অন্য খেলোয়াড়দের ঘুমাতে দেখি। আমারও মনে হয়, যদি ওদের মতো একটু ঘুমিয়ে নিতে পারতাম। কিন্তু আমি পারি না। ম্যাচের আগে আমার মধ্যে একটা উত্তেজনা কাজ করে। সকলের মতো শান্ত থাকতে পারি না।’’ আমেরিকার আর এক টেনিস খেলোয়াড় টমি পলও যেখানে সেখানে ঘুমাতে পারেন না। গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনাল খেলা পল বলেছেন, ‘‘যে কোনও জায়গায় বা যে কোনও সময় আমার ঘুম হয় না। তাই অনেকের মতো কয়েক মিনিট ঘুমিয়ে তরতাজা হতে পারি না।’’ আবার কানাডার ডেনিস শাপোভালভ বলেছেন, ‘‘যেখানে একটু জায়গা পাই, সেখানেই ঘুমিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। এক বার একটি রেস্তরাঁয় ঘুমিয়ে নিয়েছি। এক বার জিমের মেঝেতে ঘুমিয়েছি। লকার রুমে তো হামেশাই ঘুমিয়ে নিই।’’
১০-১৫ মিনিট ঘুমিয়ে নেওয়া আসলে টেনিস খেলোয়াড়দের প্রস্তুতির অংশ। টেনিস এমনিতেই প্রচুর পরিশ্রমসাধ্য খেলা। প্রতিযোগিতার সময় সেই পরিশ্রমের মাত্রা অনেকটা বৃদ্ধি পায়। তুলনায় কমে যায় বিশ্রামের সময়। কিন্তু পেশাদার দুনিয়ায় শারীরিক ক্লান্তির যুক্তি খাটে না। তাই সময় সুযোগ মতো ১০-১৫ মিনিট ঘুমিয়ে নিয়ে তরতাজা থাকার চেষ্টা করেন খেলোয়াড়দের অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy