এ বারের অলিম্পিক্স প্যারিসে। —ফাইল চিত্র।
রিয়ো এবং টোকিয়ো অলিম্পিক্সের পর প্যারিসেও থাকছে উদ্বাস্তু দল। ৩৭ জন খেলোয়াড় অংশ নিতে চলছেন। ১২টি বিভিন্ন খেলায় নামবেন দেশহীন এই খেলোয়াড়েরা। বহু বাধা টপকে প্যারিসের পথে এই ৩৭ জন।
উদ্বাস্তু দলের পতাকাবাহক সিন্ডি গাম্বা। তাঁর জন্ম হয়েছিল ক্যামেরুনে। কিন্তু এখন তিনি উদ্বাস্তু। শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বাস্তু দলের হয়ে পতাকা বইবেন তিনি। গাম্বা বলেন, “আমরা সব উদ্বাস্তু একটাই দল। আমরা খেলোয়াড়। সেই সঙ্গে আমরা যোদ্ধা। আমরা সকলে ক্ষুধার্ত খেলোয়াড়। সকলে একটা পরিবার। আমাদের উদ্বাস্তু হিসাবে দেখা হয়। কিন্তু আমরা খেলোয়াড়। অন্য দেশের খেলোয়াড়দের মতো আমরাও জিততে এসেছি। পদক জয়ের খিদে আমাদেরও রয়েছে।”
২০১৫ সালে প্রথম বার ভাবা হয় উদ্বাস্তুদের অলিম্পিক্সে নেওয়ার কথা। ২০১৬ সালে রিয়ো অলিম্পিক্সে তা কার্যকর হয়। ১০ জন খেলোয়াড় উদ্বাস্তু হিসাবে অংশ নিয়েছিলেন। এ বারে ৩৭ জন খেলোয়াড় অংশ নেবেন সাঁতার, কুস্তির মতো বিভিন্ন খেলায়।
এ বারের অলিম্পিক্সে রয়েছে ব্রেকিং। সেই খেলায় অংশ নেবেন মানিঝা তালাস। ২১ বছরের তরুণী রাস্তায় এক জনকে নাচতে দেখে অনুপ্রাণিত হন। তাঁর জন্ম কাবুলে। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে আফগানিস্তানের শাসক তালিবান। সে দেশে তাঁর পক্ষে থাকা অসম্ভব হয়ে ওঠে। তিনি স্পেনে চলে যান উদ্বাস্তু হিসাবে।
উদ্বাস্তু হিসাবে তায়কোন্ডোতে নামবেন ফারজাদ মানসৌরি। তিনি ব্রেকিংকে দেখেন যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকার অস্ত্র হিসাবে। টোকিয়োতেও খেলেছিলেন মানসৌরি। তখন তিনি আফগানিস্তানের হয়ে খেলেছিলেন। তালিবেরা দেশের শাসন ভার নেওয়ার পর তিনি চলে যান ব্রিটেনে চলে যান। এ বছর উদ্বাস্তু হিসাবে খেলতে নামবেন। দ্বিতীয় বার অলিম্পিক্সে নামার সুযোগ পাচ্ছেন মানসৌরি। কিন্তু তাঁর বন্ধু মহম্মদ জান সুলতানির সেই সুযোগ হয়নি। গত বার টোকিয়ো অলিম্পিক্সে আফগানিস্তানের হয়ে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু কাবুলের বিমানবন্দরে এক আত্মঘাতী জঙ্গিহানায় মারা যান সুলতানি। মানসৌরি বলেন, “আশা করব আমাদের দেশে শান্তি ফিরবে। সারা বিশ্বে শান্তি ফিরে আসবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy