দক্ষিণ কোরিয়ার সুং জি হিউনের বিরুদ্ধে হারলেন সিন্ধু।—ছবি এএফপি।
হংকং ওপেন ব্যাডমিন্টনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন কিদম্বি শ্রীকান্ত ও সমীর বর্মা। চতুর্থ বাছাই শ্রীকান্ত হারালেন ভারতেরই এইচ এস প্রণয়কে ১৮-২১, ৩০-২৯, ২১-১৮ ফলে। সমীরের সঙ্গে খেলা ছিল অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী চেন লংয়ের। চোটের জন্য চেন নাম তুলে নেন। তাই সমীর ওয়াকওভার পেয়ে যান। মিক্সড ডাবলসে ভারতের সাত্বিকসাইরাজ রানিকরেড্ডি ও অশ্বিনী পোনাপ্পা জুটি হেরে গেল চিনা তাইপেইয়ের জুটি লি ইয়াং-সু ইয়া চিংয়ের কাছে। ১৭-২১, ১১-২১ ফলে। তবে হেরে গিয়েছেন পি ভি সিন্ধু। পুরনো শত্রু দক্ষিণ কোরিয়ার সুং জি হিউনের বিরুদ্ধে সিন্ধু হারেন ২৪-২৬, ২০-২২।
রুদ্ধশ্বাস লড়াই হল পুল্লেলা গোপীচন্দ অ্যাকাডেমির দুই ছাত্র শ্রীকান্ত ও প্রণয়ের মধ্যে। প্রসঙ্গত সিনিয়র জাতীয় প্রতিযোগিতায় শ্রীকান্তকে হারিয়েছিলেন প্রণয়। প্রণয় প্রথম গেমে ৯-৯ স্কোর থেকে ১৪-১০ এগিয়ে যান। এক সময় স্কোর দাঁড়ায় ১৫-১৫। সেখান থেকে অসাধারণ খেলে গেম জিতে নেন প্রণয়ই। দ্বিতীয় গেমে ম্যারাথন লড়াই হয়। যা শেষ পর্যন্ত শ্রীকান্ত জেতেন ৩০-২৯ পয়েন্টে। নির্ণায়ক গেমে কিন্তু প্রথম থেকেই শ্রীকান্তের প্রাধান্য ছিল। শুরুতেই তিনি ১১-৪ এগিয়ে যান। তবে বিরতির পরে প্রণয় লড়াইয়ে ফিরে ১৬-১৬ করেন। কিন্তু তারপর শ্রীকান্তই গেমের রাশ নিজের হাতে নিয়ে ম্যাচ জিতে নেন।
এ দিকে, এক সাক্ষাৎকারে শ্রীকান্তদের কোচ গোপীচন্দ বললেন, ‘‘এই মরসুমে আন্তর্জাতিক আসরে ভারতীয়দের পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভাল। বিশেষ করে কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমস ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে। শুধু তা-ই নয়, আমাদের ছেলেমেয়েদের অন্য দেশের খেলোয়াড়দের থেকে অনেক বেশি ম্যাচ খেলতে হয়েছে। শুধু অতিরিক্ত ম্যাচ নয়, বড় প্রতিযোগিতাও তার মধ্যে ছিল। তাই ওরা সে ভাবে প্রস্তুতির সুযোগই পায়নি। নিজেদের ভুলগুলো বুঝে সেটা নিয়ে কাজ না করলে আরও ভাল ফল হবে কী করে।’’ সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা যে ভাল ফল করেছি তার প্রমাণ রয়েছে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে। বছরের প্রায় শেষে এসে শ্রীকান্ত রয়েছে ন’নম্বরে। সিন্ধু তিন নম্বরে। তা ছাড়া এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় মঞ্চতেও আমরা পদক জিতেছি। যেটা আমাদের লক্ষ্য ছিল। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে তাই আমি খুবই সন্তুষ্ট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy