হাসিখুশি সচিন। মুম্বইয়ে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠান।
টাকার অভাবে একটা সময় ট্যাক্সিতে উঠতে পারেননি তিনি। মুম্বইয়ের অনূর্ধ্ব-১৫ টিমের সঙ্গে ম্যাচ খেলে পুণে থেকে বাড়ি ফেরার পথে দাদার স্টেশনে নেমে দু’টো ঢাউস ব্যাগ কাঁধে শিবাজি পার্কের বাড়িতে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে।
মঙ্গলবার এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের তাঁর জীবনের এমন না জানা তথ্যই দিলেন সচিন তেন্ডুলকর।
কী ঘটনা? সচিন জানিয়েছেন, ১২ বছর বয়সে মুম্বইয়ের অনূর্ধ্ব-১৫ টিমের সঙ্গে পুণে গিয়েছিলেন। সেখানে ম্যাচে মাত্র চার রান করেই তিনি আউট হয়ে যান। বৃষ্টির জন্য পরে আর ব্যাট করার সুযোগ পাননি। বাড়ি থেকে যা টাকাপয়সা নিয়ে গিয়েছিলেন তা বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা দেখে এবং খাওয়াদাওয়া করে খরচ করে ফেলেছিলেন। ফলে বাড়ি ফেরার সময় দাদার স্টেশনে নেমে হাতে টাকা না থাকায় ট্যাক্সিতে উঠতে পারেননি খুদে মাস্টার ব্লাস্টার। দু’টো ঢাউস ব্যাগ কাঁধে বাড়ি ফিরেছিলেন।
এ কথা জানিয়ে সচিনের খেদ, ‘‘তখনও মোবাইল ফোনের যুগ শুরু হয়নি। থাকলে বাবা-মাকে একটা এসএমএস করলেই এখনকার মতো মোবাইলেই টাকা ট্রান্সফার করে দিতেন আর আমি ট্যাক্সি করেই বাড়ি ফিরতাম!’’
সচিন সঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দেন, ‘‘প্রযুক্তি থাকলেই যে সেটা তোমার পক্ষে যাবে তা নয়। ১৯৯২ তে প্রথম থার্ড আম্পায়ার আসার পর আমিই প্রথম ক্রিকেটার যে থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আউট হয়েছিলাম।’’ এ কথা বলে সচিনের রসিকতা, ‘‘ব্যাট করার সময় দেখতে হবে প্রযুক্তি যেন পক্ষে না যায়। আর ফিল্ডিং করার সময় দেখতে হবে প্রযুক্তি যেন পক্ষে থাকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy