চর্চায়: সারিনের চাল দেখে মুগ্ধ বিশেষজ্ঞেরা। শনিবার। ছবি: পিটিআই।
দু’দিন গড়িয়ে গেলেও কলকাতায় টাটা স্টিল দাবা প্রতিযোগিতায় জয় পেলেন না বিশ্বনাথন আনন্দ। প্রথম দিন তিনি তিনটি রাউন্ডে ড্র করেছিলেন। দ্বিতীয় দিনও তাঁর তিনটি রাউন্ডের ফলাফল একই। ফলে মোট ছ’রাউন্ডে তিন পয়েন্ট নিয়ে তিনি তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
পয়েন্ট তালিকায় যুগ্ম ভাবে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্রের হিকারু নাকামুরা এবং আর্মেনিয়ার লেভন অ্যারোনিয়ান। দু’জনেরই পয়েন্ট সাড়ে চার। তৃতীয় স্থানে পেন্টালা হরিকৃষ্ণ। ভারতীয়দের মধ্যে তিনি সবচেয়ে এগিয়ে। তাঁর প্রাপ্ত পয়েন্ট সাড়ে তিন। আনন্দ-সহ তিন জন খেলোয়াড় চতুর্থ স্থানে আছেন তিন পয়েন্ট নিয়ে। প্রথম সুপার দাবা প্রতিযোগিতায় খেলতে নামা ১৪ বছর বয়সি নিহাল সারিন আছেন পঞ্চম স্থানে।
নিহালকে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। দাবা বিশেষজ্ঞেরা তাঁর খেলা দেখে মুগ্ধ। শনিবার হো চি মিন সরণিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফল কালচারাল রিলেশনসে এ দিনের খেলা শেষ হওয়ার পরে দিব্যেন্দু বড়ুয়া বলছিলেন, ‘‘ওর যা বয়স এবং অভিজ্ঞতা তার তুলনায় এই প্রতিযোগিতায় দুরন্ত খেলছে নিহাল। ছ’রাউন্ডের মধ্যে চারটে রাউন্ড ড্র করেছে। এই চারটে রাউন্ডের খেলা দেখেই দারুণ লাগল।’’ বাংলার প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার পাশাপাশি আশা করছেন রবিবার র্যাপি়ড বিভাগের শেষ দিন তীব্র লড়াই হবে। যে দাবাড়ুরা পিছিয়ে আছেন, তারা এগিয়ে যাওয়ার মরিয়া লড়াই করবেন।
এ দিন আরও একটা আগ্রহ ছিল ভারতের এক নম্বর বনাম দু’নম্বরের লড়াই নিয়ে। অর্থাৎ আনন্দ বনাম হরিকৃষ্ণ। দেশের মাটিতে এই প্রথম মুখোমুখি হয়েছিলেন দু’জন। যে অভিজ্ঞতা নিয়ে হরিকৃষ্ণ বলেন, ‘‘র্যাপিড, ব্লিৎজে এর আগেও আমরা বহুবার মুখোমুখি হয়েছি। তবে ভারতে এই প্রথম খেললাম। আনন্দের সঙ্গে প্রত্যেক বারই খেলতে গিয়ে অনেক কিছু শিখি। আজকেও শিখেছি। গেমটা ড্র হয়েছি ঠিকই, কিন্তু খুব ভাল খেলা হয়েছে।’’ স্থানীয় তারকা সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্য অবশ্য দিনটা ভাল গেল না। শুক্রবার তৃতীয় রাউন্ডে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। শনিবারও তিনটি রাউন্ডেই হারলেন। ফলে তিনি এক পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় সবার শেষে। অবশ্য ষষ্ঠ রাউন্ডে অ্যারোনিয়ানের বিরুদ্ধে প্রথমে সুবিধেজনক জায়গায় ছিলেন সূর্য। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি আর্মেনিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার পাল্টা তাঁকে চাপে ফেলে দেওয়ায়। যে ব্যাপারে অ্যারোনিয়ান পরে বলেন, ‘‘আমার পরিকল্পনা ছিল সময় নষ্ট করে সূর্যকে চাপে ফেলার। সেটাই কাজে আসল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy