মুম্বইয়ের পথে সস্ত্রীক পীযূষ চাওলা। সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
মর্নি মর্কেলকে মুম্বই পিচে নামানো হবে? না হবে না? সাধারণত দেখা যায়, জয়ী টিম নিজেদের কম্বিনেশন ভাঙতে পছন্দ করে না। কিন্তু কেকেআর যদি টানা তিন ম্যাচ জেতার পরেও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে ফেলে, অবাক হওয়ার থাকবে না। প্রথম কারণ— ওয়াংখেড়ে উইকেট। যেখানে পুরোপুরি স্পিন-আক্রমণে যাওয়ার চেয়ে মর্কেলকে ফেরানো ভাল হবে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। দ্বিতীয় কারণ— সাকিব-আল-হাসানের প্রত্যাবর্তন। বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সোমবারই মুম্বই টিমের সঙ্গে যোগ দিলেন। এবং তাঁকে যদি শেষ পর্যন্ত নামানো হয়, তা হলে টিমের বিদেশি নিবার্চনে একটা ওলট-পালট হতেও পারে।
এমনিতে কেকেআরের স্পিন অস্ত্রদের কেউ কেউ বলে দিচ্ছেন যে, ওয়াংখেড়ে উইকেটে সাফল্য পাওয়ার রাস্তা হল পেসটাকে বুঝতে হবে। মানে, কোন গতিতে বলটা করতে হবে। পীযূষ চাওলা যেমন বলছিলেন, ‘‘ওখানেও টার্ন আছে। বাউন্স আছে। ওখানে নিজে খেলেছি বলে জানি যে, কোন পেসে বল করতে হবে সেটা বোঝা দরকার। তা হলে ওখানেও স্পিনাররা সাফল্য পেতে পারে।’’ কিন্তু তার পরেও পুরোপুরি স্পিন-আক্রমণে টিম যাবে কি না, তা নিয়ে কিছুটা হলেও এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। টিমের চার বিদেশি নির্বাচন নিয়েও যেমন। আন্দ্রে রাসেল যা খেলছেন, তাঁকে বসানোর প্রশ্নই নেই। সুনীল নারিন— আইপিএলের মধ্যভাগ পর্যন্ত তেমন ভাল না করলেও পঞ্জাবের বিরুদ্ধে চেনা নারিনে ফিরেছেন। চার উইকেট নেওয়ার পর তাঁকেও সম্ভবত রাখা হবে। পড়ে থাকছে তখন দু’টো স্লট। যদি মর্কেল ঢোকেন, তা হলে শেষ স্লটের জন্য পড়ে থাকবে দু’টো নাম। ব্র্যাড হগ এবং সাকিব।
এ দিন বিকেল-বিকেল মুম্বই রওনা হয়ে গেল কেকেআর। লিগ টেবলের যা পরিস্থিতি, তাতে খুব সম্ভবত পড়ে থাকা দু’টো ম্যাচের একটাতে জিতলেই কেকেআরের প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে যাওয়া উচিত। টিমের কেউ কেউ যদিও ধরে নিচ্ছেন, প্লে অফ মোটামুটি হয়ে গিয়েছে। এখন এক বা দু’নম্বরে থাকা যা কি না, সেটাই আসল।
সবচেয়ে প্রথম, মুম্বইকে হারাতে হবে। তা-ও মুম্বইয়ে। কিন্তু মুম্বই গত কয়েকটা ম্যাচ যতই ভাল খেলুক, কেকেআর মহাতারকাদের কেউ কেউ তাদের বাড়তি গুরুত্ব দিতে রাজি নন। বরং আন্দ্রে রাসেলের মতো কারও কারও মনে হচ্ছে, আরসিবি-রোলারে মুম্বই পিষ্ট হওয়ায় ভালই হল। রাসেল বলছিলেন, ‘‘কোনও টিম হেরে থাকলে তারা মানসিক ভাবে এমনিই কিছুটা চাপে থাকে। আর এখানে যখন ধাক্কাটা খেয়েছে মুম্বই, তখন সুবিধেটা আমাদের হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy