গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মোহনবাগানের কোন্দল এ বার পুরোপুরি তৃণমূলের কোর্টে। টুটু গোষ্ঠীর মোকাবিলায় অঞ্জন মিত্র হাজির হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘দরবারে’। অঞ্জনের সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে-জামাইও। নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েই বুধবার এই বৈঠক করেছেন অঞ্জন মিত্ররা। মোহনবাগানের নির্বাচন নিয়েই যে কথা হয়েছে, তা পার্থবাবু স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কিন্তু অঞ্জন শিবিরের কেউই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।
ক্লাবের অভ্যন্তরীণ সমীকরণে এক সময়ে হরিহর আত্মা ছিলেন যে দু’জন, সেই টুটু বসু এবং অঞ্জন মিত্র এখন যুযুধান। সভাপতি টুটু বসু এবং সচিব অঞ্জন মিত্রর গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল প্রায় রাস্তায় নেমে এসেছে। গত ২৩ জুন মোহনবাগানের বার্ষিক সাধারণ সভায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতিও বেঁধে গিয়েছিল। সভাই বাতিল করে দিতে হয়েছিল সে দিন।
ক্লাবের অভ্যন্তরীণ সমস্যা দৃষ্টিকটূ ভাবে প্রকাশ্যে চলে আসার পরেও কিন্তু হুঁশ ফেরেনি মোহনবাগান কর্তাদের। কলকাতা লিগের একটি ম্যাচ শেষে মাঠেই পরস্পরকে গালিগালাজ করতে দেখা গিয়েছে মোহনবাগানের কয়েকজন শীর্ষকর্তাকে।
আরও পড়ুন: দলকে জিতিয়ে পিন্টু হলেন ‘এমবাপে’
আরও পড়ুন: সুভাষের শেষ ম্যাচ, নয়া দায়িত্বে আলেসান্দ্রো
ক্লাবের নির্বাচনের তারিখ যত কাছে আসছে, ততই বাড়ছে উত্তেজনা। টুটু, না অঞ্জন— কোন গোষ্ঠী ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর টানাপড়েন। দু’পক্ষই চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রত্যক্ষ সাহায্য পেতে। কিন্তু তৃণমূল এখনও দলগত ভাবে কোনও স্পষ্ট অবস্থান নেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন রয়েছেন অঞ্জনের দিকে। কিন্তু টুটু-সৃঞ্জয়ের শিকড়ও তৃণমূলে খুব অগভীর নয়। দু’জনেই তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন।
২৮ অক্টোবর মোহনবাগানের নির্বাচন। সৃঞ্জয় বসু আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সে খবর অঞ্জন শিবিরের কাছেও ছিল। তাই বুধবার মেয়ে সোহিনী এবং জামাই কল্যাণকে সঙ্গে নিয়ে পার্থর সঙ্গে দেখা করলেন অঞ্জন মিত্ররা। আলোচনা করলেন মোহনবাগানের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ প্রসঙ্গে।
বৈঠকের পরে অবশ্য অঞ্জন শিবিরের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি আসেনি। অঞ্জন মিত্র ফোনই ধরেননি। আর কল্যাণ চৌবে বলেন, ‘‘আমি এ বিষয়ে কী বলব? কী কথা হয়েছে, না হয়েছে, তা নিয়ে কথা বলার অধিকার আমার নেই।’’
তবে আলোচনার বিষয়বস্তু যে ছিল মোহনবাগানের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, তা পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মোহনবাগান এত পুরনো ক্লাব, ঐতিহ্যের ক্লাব। নিজেদের মধ্যে বিরোধ খারাপ লাগছে। এত ঐতিহ্যপূর্ণ ক্লাবে এমন সমস্যা হবে কেন?’’ টুটু বসু এবং অঞ্জন মিত্রর উচিত নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া— মন্তব্য রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিবের। অঞ্জন-সোহিনী-কল্যাণদের তিনি সে কথাই বলেছেন বলে পার্থবাবু জানান। সৃঞ্জয় বসু যখন দেখা করেছিলেন, তখন তাঁকেও তিনি একই পরামর্শ দিয়েছিলেন বলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন দাবি করেন।
(খেলার জগতের বাছাই ঘটনা নিয়ে বাংলায় খবর পেতে পড়ুন আমাদের খেলা বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy