আই পি এলে গড়াপেটা এবং বেটিং আটকাতে বি সি সি আই-এর দুনীর্তি দমন বিভাগ আছে।
অক্টোবরে শুরু হতে যাওয়া ইন্ডিয়ান ফুটবল সুপার লিগেও যাতে বেটিং সিন্ডিকেট সক্রিয় হতে না পারে সে জন্য বিধিনিষেধ আনতে চলেছে ফেডারেশন। এবং সেটা ফিফা এবং এ এফ সি-র গাইড লাইন মেনেই। জিকো, দেল পিয়েরোর মতো তারকা থেকে শুরু করে সুব্রত পাল, রহিম নবির মতো ভারতের সেরা ফুটবলারআই এস এলে খেলা সব ফুটবলারেরই মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে তাঁরা। ড্রেসিংরুমে ঢোকার আগে দলের ম্যানেজারের কাছে সুইচ অফ করে জমা রাখতে হবে সব ফোন। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র ছাড়া কোনও কর্তাকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না ড্রেসিংরুমে। তা সে টিমের মালিক হলেও। আই লিগের সি ই ও সুনন্দ ধর দিল্লি থেকে ফোনে বৃহস্পতিবার বললেন, “আই এস এল শুরুর আগেই আমরা সব ফ্রাঞ্চাইজিকে নিয়ে একটা সেমিনার করব। সেখানে সব বলে দেওয়া হবে নিয়ম-কানুন। আসলে ফেডারেশন যে টুর্নামেন্টগুলোর সঙ্গে যুক্ত তার সব কটিতেই বেটিং আটকাতে এ এফ সি-র ২৮ ধারার ব্যাপারটি জানাতে বলা হয়েছে।” ফুটবলে গড়াপেটা আটকাতে ইতিমধ্যেই ফেডারেশন জাভেদ সিরাজ নামে এক প্রাক্তন সিবিআই কর্তাকে নিয়োগ করেছে। আই লিগের ক্লাবগুলিকে ইতিমধ্যেই বেটিং সম্পর্কিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপার সেমিনার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোবাইল ফোনের উপর নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ফেডারেশন কর্তারা কড়া নজর রাখবেন ড্রেসিংরুমে কে ঢোকেন, কে বেরিয়ে যান সে দিকে। ম্যানেজার, কোচ, ফিজিও-সহ মোট আটজনকে নির্দিষ্ট কার্ড দেওয়া হবে ড্রেসিংরুমের ঢোকার পরিচয়পত্র হিসাবে। দল বেঁধে ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য কর্তাদের আর ড্রেসিংরুমে ঢোকা হবে না। আই লিগের সি ই ও বলেন, “যদি ফুটবলাররা মোবাইল ফোনে ড্রেসিংরুমের ভিতর কথা বলেন তা হলে তার জন্য দায়ী থাকবেন ম্যানেজার। নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ ঢুকলেও ম্যানেজারের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হবে।” তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এখনও তো আই লিগে তেমন কোনও গড়াপেটার অভিযোগ ওঠেনি। তা হলে কেন এত কড়াকড়ি। সুনন্দবাবু বললেন, “টিমে কে নামছে- এসব নিয়েও তো বেটিং হয়। আইএসএল আসছে। সেখানেও সমস্যা হতে পারে। আমরা আগে থেকেই সতর্ক হচ্ছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy