বুধবার হারের পর লিগ টেবলের সাত নম্বরে রয়েছে মিনার্ভা। ছবি: সংগৃহীত।
মোহনবাগানের কাছে হারের পর শ্লেষাত্মক ভাষায় রেফারি রামস্বামী শ্রীকৃষ্ণকে তীব্র আক্রমণ করলেন মিনার্ভা পঞ্জাবের কোচ পল ক্রিস্টোফার মুনস্টার। বলে দিলেন, ‘‘রেফারিদের জন্যই এই ম্যাচটা হারলাম। যে পেনাল্টিটা মোহনবাগানকে দেওয়া হয়েছে ওটা পেনাল্টি ছিল না। উল্টে আমাদের একটা পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’’ এখানেই থেমে থাকেননি আইরিশ কোচ। বলেন, ‘‘কোচের চেয়ারে না থেকে আমি যদি বাঁশি মুখে নেমে এরকম খেলাতে পারতাম। কোনও নিয়মই মানছেন না রেফারিরা। আমি যদি কোচ থাকি এই রেফারিদের বাঁশি মুখে নামতে দেব না।’’
পরের পর হারে বিধ্বস্ত গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। বুধবার হারের পর লিগ টেবলের সাত নম্বরে রয়েছে মিনার্ভা। বেশিরভাগ বিদেশিরই চোট। এই অবস্থায় তাঁর চাকরি থাকে কী না তা নিয়ে ফুটবল মহলে যখন জোর আলোচনা তখন ছত্রিশ বছর বয়সী পল বলে দেন, ‘‘আমরা ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি করতে এদেশে এসেছি। রেফারিরা এখানকার ফুটবলকে এগোতে দেবে না। আমাদের ফুটবলারদের একের পর এক মারা হচ্ছে, আমি চতুর্থ রেফারিকে দৃষ্টি অাকর্ষণ করেছি বারবার। কিন্তু তিনি শোনেননি।’’ তাঁর দলের মালিক রঞ্জিত বাজাজ বারবার নানা বির্তকে জড়িয়ে জরিমানা এবং সাসপেন্ড হয়েছেন। ফেডারেশন কর্তা থেকে রেফারি কেউ তাঁর হাত থেকে রেহাই পায়নি। এ দিনও তিনি ছিলেন যুবভারতীতে কোচের পাশে।
মিনার্ভা কোচ যখন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে রেফারিদের আক্রমণ করছেন তখন সেখানে হাজির ছিলেন না ম্যাচ কমিশনার দীনেশ নায়ার। তিনি ঢোকেন পরে। তবে জানা গিয়েছে, বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন মিনার্ভা কোচ। জরিমানা ও বড় রকমের শাস্তি দু’টোই হতে পারে তাঁর। দু’বছর আগে আই লিগের ম্যাচ খেলে সেই রাতেই চিনে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে যেতে হয়েছিল মোহনবাগান। সনি নর্দেদের তখনকার কোচ সঞ্জয় সেন ফেডারেশনের সমালোচনা করে পাঁচ ম্যাচ সাসপেন্ড হয়েছিলেন সঞ্জয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy