উৎসবের কোনও আগাম আয়োজন করেননি মিনার্ভা পঞ্জাব কর্তারা। তবে মাঠে এবং মাঠের বাইরে তারা নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে প্রতিপক্ষের উপর।
অবনমনে থাকা চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে চেঞ্চো গিলসেনরা মাঠে শব্দব্রহ্মের সাহায্য চাইছেন। মাঠে আসার জন্য তাই স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন অফিসে টিকিট দিয়ে এসেছেন মিনার্ভা পঞ্জাবের কর্তারা।
অন্য দিকে ফেডারেশনের কাছে চিঠি পাঠিয়ে নানা তথ্য দিয়ে টাকা ছড়িয়ে গড়াপেটার আশঙ্কার কথা জানিয়ে রাখা হয়েছে।
এই আবহে অবশ্য সব চেয়ে চমকপ্রদ মন্তব্য মনে হয় করে ফেলেছেন চার্চিল কোচ আলফ্রেড ফার্নান্ডেজ। ম্যাচ খেলতে নামার আগে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ঐতিহ্যের ক্লাবগুলির সঙ্গে লড়ে নতুন ক্লাব যদি চ্যাম্পিয়ন হয়, তা হলে সেটা তো ভারতীয় ফুটবলকেই সমৃদ্ধ করবে।’’
তিন শহরে তিন ম্যাচ। চারটি দল রয়েছে খেতাবের লড়াইতে। একই সময় ম্যাচ বলে কেউ কারও ফল দেখে মাঠে নামতে পারছে না। তা সত্ত্বেও চার্চিল কোচের এ রকম মন্তব্যের পরও উঠেছে নানা প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়া গুজবে গুজবে ছয়লাপ। সেখানে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছে, চার্চিল কি ধরে নিয়েছে মিনার্ভাই চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে?
কিন্তু বাস্তবটা যে বড় রুক্ষ! কারণ পঞ্চকুল্লায় আজ বৃহস্পতিবারের খেলা তো পঞ্জাব এবং গোয়ার দু’দলের কাছেই মরণ-বাঁচনের ম্যাচ হিসাবে হাজির। কারণ এই ম্যাচ না জিতলে মিনার্ভার চ্যাম্পিয়ন হওয়া আটকে যাবে। আর শেষ ম্যাচ থেকে পয়েন্ট না পেলে অবনমন হবে চার্চিলের। পয়েন্ট পেতে এতটাই মরিয়া গোয়ার পারিবারিক ক্লাব যে, শুধু একটা ম্যাচের জন্য উইলস প্লাজাকে সই করিয়েছে। মজার ব্যাপার হল, ইস্টবেঙ্গলের বাতিল বিদেশি যদি তাঁর গোল করে তাঁর নতুন দল চার্চিলকে জেতাতে পারেন, তা হলে খালিদ জামিলের ভাগ্য খুললেও খুলে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy