ম্যাচ জিতেই গর্জন মাশরাফিদের। ছবি: এএফপি।
মাশরাফিকে ঘিরে তখন সতীর্থরা উল্লাসে মেতে উঠেছেন। এই দৃশ্য যে কারও চোখে জল এনে দিতে যথেষ্ট। সদ্য দলে ঢোকা তাসকিন-রনি-সাব্বিররা যখন তাঁদের অধিনায়ককে নিয়ে মেতে উঠেছেন, তখন গ্যালারিতে থাকা সব দর্শকদের আক্ষেপ! ইশ! আমরাও যদি পারতাম! কিন্তু সে জন্য থেমে থাকেনি মীরপুর স্টেডিয়াম বা পুরো বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যখন আনোয়ার আলির ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকালেন। পুরো গ্যালারি জুড়ে শুরু হল গর্জন।
আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সংবাদিকরাও। তবুও সিনিয়র অনেক সাংবাদিক লুকিয়ে কাঁদলেন। তাঁদের দেখে কাঁদলেন আরও অনেকেই। আসলে পেশাদার সাংবাদিকরাও তো আবেগের কাছে বন্দি!
মাশরাফিকে ঘিরে উদযাপনের আগে অবশ্য শেষ বলে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে চার মেরেই জয়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দেন রিয়াদ। তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন নাসির হোসেন। ছুটে যান সাব্বিরও। সকলে মাতলেন এশিয়া কাপে দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন সকলে।
বাংলাদেশের ইনিংসের যখন ১৮তম ওভার। মীরপুরের আকাশে তখন ২০১২ সালের এশিয়া কাপে ২ রানে পাকিস্তানের কাছে হারের চিত্রটা ফুটে উঠেছিল। ম্যাচ শেষে রিয়াদও এমনটাই জানান। তিনি বলেন, ‘২০১২ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের সঙ্গে ফাইনালে ২ রানের ছবিটা চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। কোনওভাবেই চাইনি এর পুনরাবৃত্তি আবারও হোক।’ শেষ পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশে তাদের কাজটা মাঠে ঠিক মতোই করে দেখিয়েছে।
মাশরাফি বিন মুর্তজা যখন ক্রিজে নামলেন, তখন আগের ম্যাচগুলোতে ওপেনিংয়ে নামা মিঠুন বসে ছিলেন ড্রেসিংরুমে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ক্রিজে নামেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাহমুদউল্লাহ সঙ্গে ২৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি। মাশরাফি আমিরের দুই বলে পর পর দু’টো বাউন্ডারি মারার পরই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। আর মাশরাফি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
সৌজন্যে বাংলা ট্রিবিউন।
আরও পড়ুন...
দেশকে রূপকথার রাত উপহার দিলেন মাশরফি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy