গোলের পর ইউজিনসন লিংডোকে ঘিরে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস। ছবি: সংগৃহিত।
মুম্বই ০
পুণে ১ (ইউজিন)
ইউজিনসন লিংডোর শেষ মুহূর্তের গোলে বাজিমাত এফসি পুণে সিটির। বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে এএফসি কাপের ফাইনাল খেলে মুম্বই সিটি দলে যোগ দিয়েছেন সুনীল ছেত্রী। এদিন খেললেন ফোরলানের পাশেই। যদিও গোল এল না কারও পা থেকে। ঘরের মাঠে হেরে যেতে হল নতুন সুনীল-ফোরলান জুটিকে। দুই দলেই শুরু থেকে বেশ কিছু চমক ছিল। পুণের হয়ে বেঞ্চে শুরু করেছিলেন ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা ইউজিনসন লিংডো। এই মুহূর্তে দেশের সেরা মিড ফিল্ডার তিনিই। তবুও তাঁকে বেঞ্চে রেখেই শুরু করেছিলেন হাবাস। হয়তো শেষ বাজি হিসেবে হাতে রেখেছিলেন ইউজিনকে। যাতে সফল তিনি।
শুরুতে ফোরলান-সুনীল চাপে রেখেছিল পুণে রক্ষণকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজে লাগেনি দুই সেরা স্ট্রাইকারের কোনও স্কিলই। ঘরের মাঠে এদিন দলের খেলা দেখতে হাজির ছিলেন রনবীর কাপুরও। হতাশ হয়েই ফিরতে হল তঁকে। প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের হাল ধরে পুণে। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই ইউজিনসন লিংডোকে নিয়ে হাবাস। আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ে হাবাসের দলের। কলকাতাকে হারিয়ে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে পুণে। এদিন সেটাই দেখা গেল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও। এর মধ্যেই ফোরলানের সামনেও এসে গিয়েছিল গোলের সুযোগ। কিন্তু তা কাজে আসেনি।
৭৫ মিনিটে এডেল বেটের হাতে লেগে ক্রসবারে লেগে বেরিয়ে যায় ফোরলানের ফ্রিকিক। এর পর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন গৌরমাঙ্গি সিংহ। তাঁর জায়গা মাঠে আসেন রাবানন। পুরো ম্যাচেই একাধিক সুযোগ তৈরি করেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি মুম্বই। কিন্তু পুণের একটিই সুযোগ থেকেই আসে গোল। যদিও এই গোলের পিছনে ভূমিকা রেখে গেলে মুম্বই গোলকিপার অ্যালবিনো গোমস। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়া ঠিক এক মিনিট আগে নারায়ন দাসের ক্রস এগিয়ে এসে ফিস্ট করেন গোমস। কিন্তু পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। কাছেই ছিলেন লিংডো। পিছন থেকে এসে সেই বলই গোলে ঠেলেন তিনি। মু্ম্বইকে হারিয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে এল পুণে সিটি।
আরও খবর
চেন্নাইকে হারিয়ে শীর্ষে দিল্লি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy