Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
দাবার বিশ্বযুদ্ধ

কার্লসেনের তিকিতাকায় মাত আনন্দ

স্প্যানিশ ফুটবলের জগদ্বিখ্যাত তিকিতাকার দিন শেষ কি না সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যে বিখ্যাত স্টাইলে এক সময়ে বিশ্ব ফুটবলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল স্পেন। এখন আর তাতে ধার নেই বলে সোরগোল উঠছে। আনন্দের ‘সেকেন্ড হোম’ বহু দিন ধরেই স্পেন। আরও স্পষ্ট করে বললে মাদ্রিদ। তাকেই রবিবার সোচির দাবার বিশ্বযুদ্ধের দ্বিতীয় গেমে ম্যাগনাস কার্লসেন যেন তিকিতাকা খেলে হারাল! যার পর দাবায় তিকিতাকার দিন শুরু হল কি না সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

দিব্যেন্দু বড়ুয়া
শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০২:০৪
Share: Save:

স্প্যানিশ ফুটবলের জগদ্বিখ্যাত তিকিতাকার দিন শেষ কি না সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যে বিখ্যাত স্টাইলে এক সময়ে বিশ্ব ফুটবলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল স্পেন। এখন আর তাতে ধার নেই বলে সোরগোল উঠছে।

আনন্দের ‘সেকেন্ড হোম’ বহু দিন ধরেই স্পেন। আরও স্পষ্ট করে বললে মাদ্রিদ। তাকেই রবিবার সোচির দাবার বিশ্বযুদ্ধের দ্বিতীয় গেমে ম্যাগনাস কার্লসেন যেন তিকিতাকা খেলে হারাল! যার পর দাবায় তিকিতাকার দিন শুরু হল কি না সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

আগ্রাসী নয় আবার প্রবল আক্রমণও না। স্রেফ ধীরে ধীরে চাপের মাত্রা বাড়িয়ে বিপক্ষকে ভুল করতে বাধ্য করানোর স্ট্র্যাটেজি। ফুটবলের মতোই ছোট ছোট পাসে লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া। তাতেই ৩৪ চালের পর হারতে হল ভিশিকে। বলতেই হচ্ছে, আমরা যারা আনন্দের চনমনে প্রস্তুতি দেখে দুরন্ত একটা লড়াইয়ের আশায় ছিলাম রবিবারের হারে সেটা বিরাট ধাক্কা খেল।

আশঙ্কাটা অবশ্য ছিলই। আগেই বলেছিলাম লম্বা প্রথম গেমের ক্লান্তিটা এড়ানো আনন্দের পক্ষে চব্বিশ ঘণ্টা পরেই সহজ হবে না। প্রথম গেমে বিপদে পড়েও লড়াইটা টিকিয়ে রেখে শেষ পর্যন্ত সামাল দিয়েছিল ও। পাশাপাশি কিন্তু চুয়াল্লিশের ভিশিকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা কাটাতেও হয়েছিল টেবিলে।

যার পরের দিনই কার্লসেনের সাদা ঘুঁটি নিয়ে ইঞ্চি-ইঞ্চি করে এগিয়ে যাওয়ার স্ট্র্যাটেজির সামনে হঠাত্‌ ভেঙে গেল ভিশির যাবতীয় রক্ষণ। অনেকটা গতবারের মতোই। ফলে এই হারের ধাক্কাটা আনন্দ কত দ্রুত সামলাতে পারবে সেটাও একটা প্রশ্ন।

সোমবার অবশ্য বিশ্রাম থাকায় কিছুটা সুবিধে থাকছে ভিশির। বিশ্রামটা কাজে লাগিয়ে তৃতীয় গেমে আমাদের ভিশি দারুণ ভাবে ফিরে আসবে সেই আশাই এখন সম্বল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE