নবাগত বিদেশি খাইমে স্যান্টোস কোলাদোকে লুকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস। কিন্তু, কানাঘুষো খবর ঠিকই পৌঁছে গিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের শিবিরে। মোহন কোচ নয়তো বলবেন কেন, “যা শুনলাম ওর সম্পর্কে তাতে বাড়তি সতর্ক থাকতেই হবে। প্রথম টাচটা ভাল। গতিও নাকি ভালই রয়েছে।‘’
আসলে বরাবরের মতোই রবিবাসরীয় ডার্বির আগে সবুজ-মেরুন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীকে বাড়তি সতর্ক দেখিয়েছে। রক্ষণ নিয়েও ওঁর একটা চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। কারণটা খুব স্পষ্ট। এবারের আই লিগে ঘরের মাঠেই সবচেয়ে বেশি গোল হজম করেছে তাঁর দল। তিন ম্যাচে ছয় গোল। যা শঙ্করলালকে তো বটেই, সাধারণ সভ্য- সমর্থকদেরও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন রেখেছে।
বড় ম্যাচ মানেই সম্মানের লড়াই। লিগ টেবলে কারা কোন জায়গায় অবস্থান করছে বা এই মুহুর্তে কোন দল কেমন ফর্মে এসমস্ত কিছুই গৌণ হয়ে পড়ে ডার্বির মাহেন্দ্রক্ষণ এসে পড়লে। লাল-হলুদের জার্সিতে রবিবার এনরিকে নেই। তাও কিন্তু মোহন শিবির একেবারে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না।
আরও পড়ুন: বড় ম্যাচের আগে চোটই চিন্তায় রাখল দুই কোচকে
আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়লেন সিন্ধু, ওকাহুরাকে হারিয়ে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ওয়ার্ল্ড ট্যুরে সোনা
এর কারণ, দলের রক্ষণকে এখনও তেমন জমাট লাগছে না। কিংসলে ভরসা দেবেন, আশা করাই যায়। কিন্তু, দুই উইংব্যাক ওভারল্যাপে গেলে নেমে আসতে এতটাই সময় নিচ্ছেন যে, তাতে বিপক্ষ দল বাড়তি সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। চার্চিল ম্যাচে মোহনবাগানের তিন গোল হজম করার নেপথ্যে এটাও ছিল বড় কারণ। শঙ্করলাল আপাতত একটাই প্রার্থনা করছেন, সুপার সানডে-র বিকেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিরুদ্ধে রক্ষণের এই সমস্যা যেন দলকে না ভোগায়।
(মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল থেকে এটিকে। কলকাতা ডার্বি, আইলিগ থেকে আইএসএল, কলকাতা ময়দানের সমস্ত খবর জানতে পড়ুন আমাদের খেলাবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy