কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে হারাতে শেষ বলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। শেষ ওভার করছিল স্পিনার মুজিব-উর-রহমান। ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার। অফস্টাম্পের সামান্য বাইরে পড়া মুজিবের বলটা উড়িয়ে দিয়েছিলেন শ্রেয়স (৪৫ বলে ৫৭)। কিন্তু মাঠের বাইরে পাঠাতে পারেননি। লংঅফে দাঁড়ানো অ্যারন ফিঞ্চ ক্যাচ ধরে নেন। পঞ্জাবের ১৪৩-৮ স্কোরের জবাবে দিল্লি থেমে গেল ১৩৯ রানে। চার রানে ম্যাচ জিতে প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল আর অশ্বিনের দল। ছ’ম্যাচ খেলে পাঁচটিতে জিতে লিগ টেবলে এক নম্বরে এখন পঞ্জাব।
হালকা চোট থাকায় সোমবার ফিরোজ শা কোটলায় ক্রিস গেলকে বিশ্রাম দিয়ে নেমেছিল পঞ্জাব। কে এল রাহুলও (১৫ বলে ২৩) বড় স্কোর না পাওয়ায় পঞ্জাব আটকে যায় দেড়শোর কম রানে। তখন মনে হচ্ছিল, সহজেই জিতবে দিল্লি। কিন্তু গৌতম গম্ভীরদের সেই সহজ কাজটাই করতে দিলেন না পঞ্জাবের বোলাররা। অ্যান্ড্রু টাই (২-২৫), অঙ্কিত রাজপুত (২-২৩) এবং মুজিবের (২-২৫) ত্রিফলা আক্রমণের সামনে আটকে যায় দিল্লি।
পাশাপাশি প্রশংসিত হয়েছে অশ্বিনের নেতৃত্বও। যে ভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বোলারদের ব্যবহার করেন তিনি, তাতে মুগ্ধ মাইকেল ক্লার্কের মতো বিশেষজ্ঞরা। শেষ ওভার স্পিনারকে দিয়ে করানোর ঝুঁকি নিয়েছিলেন অশ্বিন। তরুণ আফগান স্পিনার মুজিব অধিনায়কের আস্থার মর্যাদা দেয় ম্যাচ জিতিয়ে। ঠান্ডা মাথায় ঠিক জায়গায় বলটা রেখে যায় ১৭ বছর বয়সি এই বিস্ময় কিশোর। শেষ ওভারে ১৭ রান উঠতে দেয়নি মুজিব। শ্রেয়স একটি ছয়, একটি চার মারলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি। ম্যাচের সেরা রাজপুত হলেও অশ্বিন বলেছেন, ‘‘আমার কাছে সেরা বোলার হল টাই।’’ যে টাই ১৮ নম্বর ওভার করতে এসে মাত্র ৭ রান দিয়ে এক উইকেট পান। ১৯ নম্বর ওভারে এসে বারিন্দর স্রান দেন মাত্র ৪ রান।
পঞ্জাবের রান তাড়া করতে নেমে দিল্লির শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি। জীবনের প্রথম আইপিএল ম্যাচ খেলতে নেমে খুব বেশি রান করতে পারেননি পৃথ্বী শ। তিনি আউট হয়ে যান ১০ বলে ২২ রান করে। অন্য ওপেনার গৌতম গম্ভীর ১৩ বলে করেন চার রান। ৭৬ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে যায় দিল্লির।
এই ম্যাচে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেছিল দিল্লি। লিয়াম প্লাঙ্কেট ১৭ রানে তিন উইকেট নিয়ে পঞ্জাবকে কম রানে আটকে রেখেছিলেন। কিন্তু তাতে লাভ হল কোথায়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy